• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ঝড়ের আগে গোপালগঞ্জে অধিকাংশ জমির ধান উঠেছে: কৃষি বিভাগ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২০  

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আগে গোপালগঞ্জের অধিকাংশ পাকা বোরো ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে জেলার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির পাকা বোরো ধান তলিয়ে গেছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অদিদপ্তরের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সদর, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার নিচু জমির এসব ধান তলিয়ে গেছে বলে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসাররণ অদিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) অরবিন্দু কুমার রায় জানান।

অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, এ বছর জেলায় ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরা ধানের আবাদ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আগেই ৬৪ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়। ১২ হাজার হেক্টরের পাকা ধান ক্ষেতে ছিল।

“কাটার বাকি ধানের মধ্যে ঝড়ের প্রভাবে জোয়াড়ের পানিতে নিচু এলাকার দুই হাজার ৪০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।”

অরবিন্দু কুমার বলেন, যে পরিমাণ ধান পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষক এগুলো কেটে উঠাতে পারবেন। দুদিন রোদ হলে এ ধান নষ্ট হবে না।

সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বলাকইড় গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, “আমাদের গ্রামের অন্তত ৫ একর জমির ধান তলিয়ে গেছে। এ ধানে গাছ গজিয়ে গেছে। জমি থেকে ধান কাটা গেলেও নষ্ট এ ধান কোনো কাজে আসবে না।”

সদর উপজেলার নিজড়া গ্রামের কৃষক আল-আমিন মিনা বলেন, “আমাদের নিচু এলাকার অন্তত পাঁচ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। এ ধান কেটে জমি থেকে উঠানো হচ্ছে। দুদিন ভালোভাবে রোদ হলে ধান নষ্ট হবে না।”

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রাশাসক সার্বিক কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে গোপালগঞ্জে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ও কিছু গাছাপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। কিছু ধান তলিয়ে গেছে। এ জেলায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ