দখলে থাকা সরকারি জমিতে নির্মিত হচ্ছে পার্ক

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অবৈধ দখলে থাকা প্রায় তিন কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করে পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাব্বির আহমেদ পার্ক নির্মাণের এ উদ্যোগ নেন।

কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর বাসস্ট‌্যান্ড থেকে রামদিয়া সড়কে যেতে হাতের বামপাশে এ পার্ক নির্মাণ করা হবে। এ পার্কের নাম দেওয়া হয়েছে তিলছড়া পার্ক। পার্ক নির্মাণের নান্দনিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। এতে ওই এলাকার বিনোদন প্রিয় মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে।

কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিন্টু বিশ্বাস জানান, উপজেলার ৮৬ নম্বর তিলছড়া মৌজার ৩৩২৬ নম্বর দাগের বি.আর.এস-১ খতিয়ানভূক্ত হালটের ১.০১ একর সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা বসতবাড়ি, দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল।

গত ১৯ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদের নির্দেশে সরকারি জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ওই জমিতে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের সিদ্ধান্তে পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পার্ক নির্মাণের খবরে সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃস্টি হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে বিনোদন বঞ্চিত এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।

ওড়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বদরুল আলম বিটুল জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ কাশিয়ানীতে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সর্বমহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। আমাদের এলাকায় সরকারিভাবে বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই। এমন উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।

তিলছড়া সরদারপাড়া গ্রামের মো. কামরুল সরদার বলেন, ‘এলাকার মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য পার্ক জরুরি। এখানে পার্ক হবে এ খবরে আমরা খুবই আনন্দিত। পার্ক হলে আমরা সন্তান, স্বজন ও পরিবারবর্গ নিয়ে সুস্থ্য বিনোদন ও সময় কাটানোর ভাল সুযোগ পাবো। দ্রুত পার্কের কাজ সমাপ্ত করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমি কাশিয়ানীতে যোগদানের পর দেখলাম কাশিয়ানী উপজেলায় মানুষের বিনোদনের জন্য সরকারিভাবে কোন পার্ক নেই। এই বিষয়টি বিবেচনা করে তিলছড়া এলাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সরকারিভাবে পার্কটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।’