• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন তামিম

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২০  

২০০৯ সালে বুলাওয়েতে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। এটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত তার এবং বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এবার নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন তামিম। গত কয়েকদিন ধরে তার খেলার ধরন আর আউট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল ভীষণ। তামিম মাঠেই জবাব দিলেন, এমনই জবাব; সমালোচকদের মুখ খোলার উপায়ই রাখলেন না।

১০৬ বলে সেঞ্চুরি, ১৩২ বলে ১৫০। অর্থাৎ সেঞ্চুরির পরের ফিফটি তুলে নিতে তামিম খরচ করেছেন মোটে ২৬টি বল। নিজের দিনে তিনি কি করতে পারেন দেখিয়ে দিলেন সবাইকে।

ওপেনিংয়ে নেমে জিম্বাবুইয়ান বোলারদের চোখের পানি নাকের পানি এক করে ছাড়া তামিম শেষতক ফিরলেন ইনিংসের ৪৬তম ওভারে এসে। ছক্কা মারতে গিয়েই কার্ল মাম্বার বলে লং অন বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার।

১৩৬ বল মোকাবেলায় গড়া তামিমের ১৫৮ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটিতে ছিল ২০টি চার আর ৩টি ছক্কার মার। স্ট্রাইকরেট ১১৬.১৭। এক ইনিংসেই সব সমালোচনা ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

এটি তামিমের ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি ইনিংস। সর্বশেষ সেঞ্চুরি এসেছিল ১৯ মাস আগে। ম্যাচের হিসেবে ২৩ ওয়ানডে পর। তামিম ফর্মে ফিরলেন, বীরের মতোই।

প্রায় একযুগ আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই বাংলাদেশের পক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলার পর তামিম নিজে কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন অন্তত তিনবার। মুশফিকুর রহীম, ইমরুল কায়েসরা ফিরেছেন ১৪৪ রানে গিয়ে। এর আগে ২০০৭ সালে সাকিব আল হাসান অপরাজিত ছিলেন ১৩৪ রানে।

কিন্তু কেউই পারেননি দেড়শ রানের মাইলফলকে যেতে। অবশেষে প্রায় ১১ বছর পর সেই তামিমই বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো পৌঁছলেন এই অর্জনে।

টানা কয়েক ম্যাচের ব্যর্থতা ছাপিয়ে মাত্র ৪২ বলে পূরণ করেছিলেন নিজের ৪৯তম হাফসেঞ্চুরি। সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে খেলেন আরও ৬৪ বল। ইনিংসের ৩৭তম ওভারে ১২তম সেঞ্চুরি হাঁকানোর সময় তার ইনিংসে চার ছিলো ১৪টি, ছক্কার ঘর তখনও শূন্য।

সেঞ্চুরি পূরণের পরই যেনো অন্য এক তামিমের আবির্ভাব। ইনিংসের ৪০তম ওভারে টিনোটেন্ডা মুতমবদজির চার বল খেলেই নিয়ে নেন ১৮ রান। সে ওভারের দ্বিতীয় বলে আসে তামিমের ইনিংসের প্রথম ছক্কা। যা ছিলো ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০ ইনিংস পর তামিমের ছক্কার মার।

সেই ওভার থেকে শুরু হলো আক্রমণাত্মক ব্যাটিং! তা চললো ৪৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগপর্যন্ত। ১০৬ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করার পর দেড়শতে পৌঁছতে মাত্র ২৭টি বল খেলেছেন তামিম, হাঁকান ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। দেড়শতে যাওয়ার পর ছক্কা মেরেই নিজের আগের করা ১৫৪ রানের রেকর্ড ছাড়িয়ে যান তিনি।

বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস

১. তামিম ইকবাল - ১৫৮ বনাম জিম্বাবুয়ে (২০২০)
২. তামিম ইকবাল - ১৫৪ বনাম জিম্বাবুয়ে (২০০৯)
৩. মুশফিকুর রহীম - ১৪৪ বনাম শ্রীলঙ্কা (২০১৮)
৪. ইমরুল কায়েস - ১৪৪ বনাম জিম্বাবুয়ে (২০১৮)
৫. সাকিব আল হাসান - ১৩৪* বনাম কানাডা (২০০৭)

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ