• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

পৃথিবী ও ব্ল্যাক হোল আরো কাছাকাছি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২০  

কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল নামটার সঙ্গে অনেকেই কম-বেশি পরিচিত। বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করে আসছেন। সে অনুযায়ী খুব বেশি সাফল্য আসেনি। তবে সম্প্রতি কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে ‘চমকপ্রদ’ তথ্য খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।

মিল্কিওয়ে নামের একটি ছায়াপথে ঘুরে বেড়াচ্ছে সূর্য, পৃথিবীসহ আরো অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্র। এ ছায়াপথের ঠিক মাঝখানে রয়েছে বিশাল এক কৃষ্ণগহ্বর। এতদিন কৃষ্ণগহ্বর ও পৃথিবীর মধ্যকার দূরত্ব নিয়ে যা ধারণা ছিল, তা ঠিক নয় বলে নতুন এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে।

বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘পাবলিকেশনস অব দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব জাপান’- এ বিষয়ক গবেষণাটি প্রকাশ করেছে। এতে জাপানের মহাকাশ প্রকল্প ভিএলবিআই এক্সপ্লোরেশন অব রেডিও অ্যাস্ট্রমেট্রির (ভিইআরএ) বিজ্ঞানীর অংশ নেন।

১৯৮৫ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন দাবি করে আসছিল,  কৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ২৭ হাজার ৭০০ আলোকবর্ষ। তবে নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এ দূরত্ব আসলে ২৫ হাজার ৮০০ আলোকবর্ষ। অর্থাৎ প্রচলিত ধারণার চেয়ে পৃথিবী ওই কৃষ্ণগহ্বরের আরো দুই হাজার আলোকবর্ষ কাছে অবস্থান করছে।

নতুন গবেষণার ফলে আরো বেশ কিছু ভুল ভেঙেছে। আকাশগঙ্গার কেন্দ্রের চারপাশ ঘিরে পৃথিবীর গতি প্রতি সেকেন্ডে ২২০ কিলোমিটার; এমনটাই জানা ছিল এতদিন। কিন্তু নতুন গবেষণার ফল বলছে, পৃথিবীর এ গতি আসলে প্রতি সেকেন্ডে ২২৭ কিলোমিটার।

২০০০ সাল থেকে ভিএলবিআই এক্সপ্লোরেশন অব রেডিও অ্যাস্ট্রমেট্রির (ভিইআরএ) বিজ্ঞানীরা আকাশগঙ্গা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। মূলত তারা সেখানে বিভিন্ন বস্তুর বেগ ও বিশেষ কাঠামোর ত্রিমাত্রিক ছবি দাঁড় করানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। এ জন্য জাপানজুড়ে বসানো হয়েছে রেডিও টেলিস্কোপ। যা এ গবেষণাকে আরো বেশি অর্থবহ করে তুলেছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ