• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ফল চাষে লাভবান হচ্ছেন গোপালগঞ্জের চাষিরা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২০  

অসময়ে গাছে পেকে রয়েছে বড় বড় আম,গাছ ভর্তি থাই নারকেল গাছে ডাব, দেশি-বিদেশি ফলের সমাহার, তার সঙ্গে রয়েছে ঔষধি গাছ ও ফুলের বাহার। যেখানে আসলে মন ভরে যায়। বলছিলাম গোপালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের কথা। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে কাশিয়ানীর রাতইলে এই প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক বছরেই কৃষির উন্নয়নে এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

দেশি-বিদেশি আম,জাম, লিচু, নারকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছে ঠাসা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অবস্থিত হর্টিকালচার সেন্টার। এখানে গেলে পাওয়া যাবে অন্তত অর্ধ শতাধিক প্রজাতির বিভিন্ন ফলের কলমের ও বীজ থেকে তৈরি ফলের চারা। বিশেষ করে অনেক দাম দিয়ে যেসব বিদেশি ফল বাজার থেকে কিনে খেতে হয় তার অধিকাংশই পাওয়া যায় এই সেন্টারটিতে। স্বল্প দামে বিক্রি হচ্ছে এসব গাছের চারা। 

কাজু বাদাম, মিশরীয় ডুমুর, রাম্বুটান, অ্যাভোকেডো, থাই নারকেল, কমলা, মাল্টা, কফি, বারোমাসি আমসহ অসংখ্য প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের চারায় ভরা পুরো এই সেন্টারটি এলাকার শুধু কৃষকই না, সৌখিন ফল চাষিদের বাগান তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। স্বল্প দামে কলম চারা ও বীজ থেকে তৈরি চারা নিয়ে অনেকেই এখন সাবলম্বী। বিশেষ করে এ জেলায় মাল্টা চাষ করে অসংখ্য কৃষক লাভের মুখ দেখছে।

কাশিয়ানীর জামাল মোল্লা, মুকসুদপুরের জিয়াউদ্দিন জানান, এই সেন্টারে স্বল্প দামে বিভিন্ন ফলের চারা বিক্রি করা হয়ে থাকে। এখান থেকে বিভিন্ন ফলের চারা নিয়ে বাগান তৈরি করে আমরা ভালো আছি। আমাদের দেখে অনেকেই এই সেন্টার থেকে চারা নিয়ে বাগান তৈরিতে উৎসাহিত হচ্ছেন।

গোপালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এই হল্টিকালচার সেন্টারে পাঁচ শতাধিক প্রজাতির ফলমূলের চারা আমরা বিক্রি করে থাকি। বিশেষ করে থাইল্যান্ড থেকে আনা আম, নারকেল গাছ’সহ দেশি-বিদেশি ফলের চারা এখানে পাওয়া যায়। তিনি জেলাবাসীকে এখান থেকে চারা নিয়ে ফল বাগান তৈরি করে নিজেদের ভাগ্য বদলের আহ্বান জানান।

বিভিন্ন প্রকারের ফলের চাষ করে এলাকার ফলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে এলাকার চাষিরা লাভবান হবেন এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ