• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ফিরে দেখা সরকারের সফলতা : পদ্মা সেতু প্রকল্প

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২০  

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। রুপকল্প ২০২১ এবং একশ’ বছরের ডেল্টা প্লানকে সামনে রেখে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের মহান রুপকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তাধারা ও যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশ থেকে দূর হয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারত্ব। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক পরিবেশনা।

সকল দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে ৬.১৫ কি.মি. দীর্ঘ পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। এ সেতুর এক প্রান্ত মুন্সীগঞ্জ-মাওয়া হয়ে অপর প্রান্ত শরীয়তপুর-জাজিরা গিয়ে মিলবে। এই সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সংযোগ ঘটবে। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে এবং মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর এই সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এটি নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষি ও শিল্পের বিপ্লব ঘটবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সর্বশেষ অগ্রগতির তথ্যে জানা গেছে,   মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান বসানো হয়েছে গত বছর ৩১ ডিসেম্বর। ১৯তম স্প্যান বসানোর ১৩ দিনের মাথায় ২০তম স্প্যানটি বসানো হয়। এটি একটি কারিগরি সফলতা।  এর মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এ শিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে আগামী ২০২০ সালের বছরের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানো শেষ হবে। পদ্মা সেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৪১০টি রেল স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এর মধ্যে ২০টি স্প্যান বসে গেছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।

দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের নীলনকশায় শুরুতেই হোচট খেয়েছিল পদ্মা সেতু প্রকল্প। প্রিকল্প শুরু হওয়ার আগেই দূর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল বিরোধীদলের পক্ষ থেকে। এমনকি বিরোধী দলীয় নেত্রী ব্যাংগ করে বলেছিলেন ‘পদ্মা সেতু তৈরী হলে তার ওপর দিয়ে কেউ হাটবেন না, ভেঙ্গে নীচে পড়ে যাবেন।’ বিএনপি ও কিছু মহল বিশ্বব্যাংককে ভুল বুঝিয়ে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপে একদিকে এগিয়ে চলে সেতু নির্মাণের কাজ অন্যদিকে চলে কথিত দূর্নীতির তদন্ত। দেশী বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে সর্বশেষে প্রমানিত হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা দূর্নীতি হয়নি। এঘটনার পর সারাবিশ্বে একজন সৎ নির্ভিক যোগ্য দূরদর্শী নেতার আসনে শেখ হাসিনা অধিষ্ঠিত হন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ