ফিস্টুলা : বুঝবেন কিভাবে?
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৯
পায়ুপথের সাথে চামড়ার অস্বাভাবিক সংযোগই হচ্ছে ফিস্টুলা বা ভগন্দর। এই ফিস্টুলা হওয়ার আগে রোগীর মলদ্বারের আশপাশে প্রথমে ফোড়া হয়। এই ফোড়া অযত্ন-অবহেলায় নিজে নিজেই ফেটে যেতে পারে কিংবা অধিকহারে পুঁজ বের হওয়ার দরুন ফোড়া বৃদ্ধি পেয়ে মলদ্বারের ভেতর ও বাইরের মধ্যে অস্বাভাবিক সংযোগ স্থাপন করে। এ অবস্থায় মাঝে মধ্যেই বাইরের মুখ ক্ষণস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গিয়ে পুঁজ বা কষ ঝরতে থাকে এবং কিছুটা ফুলে যায়। ফলে রোগীর মলদ্বারে ব্যথা ও হালকা জ্বর হয়। বন্ধ মুখ খুলে গিয়ে পুঁজ বা কষ বের হয়ে গেলে রোগী আরামবোধ করে। কিন্তু কিছুদিন পর আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং ভেতর বা বাইরে একাধিক মুখের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ রোগের একমাত্র সমাধান শৈল্যচিকিৎসা বা সার্জারি। ফিস্টুলা প্রধানত দুই ধরনের- ১. এনাল স্ফিংটারের নিচে ফিস্টুলার ভেতরের মুখের অবস্থান হলে তাকে নিচ বা লো ফিস্টুলা এবং ২. স্ফিংটারের ওপর অবস্থান হলে তাকে ওপর বা হাই ফিস্টুলা বলে। ভেতরের মুখ যত ওপরে থাকে তার চিকিৎসা পদ্ধতি তত জটিল ও কষ্টসাধ্য।
রোগ নির্ণয়
রোগীর ইতিহাস শুনে ফিস্টুলার প্রকারভেদ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। যেমন- ওভর প্রকার ফিস্টুলা হলে মাঝে মধ্যে মল ও বায়ু আসতে পারে। পরীক্ষা করলে ভেতর ও বাইরের মুখ আঙুল দিয়ে অনুভব করা যায় এবং অস্বাভাবিক সংযোগটি শক্ত রেখার মতো অনুভূত হবে। ফিস্টুলোগ্রাম করে সংযোগটি বোঝা যায় এবং অ্যান্ডোরেকটাল আলট্রাসাউন্ড করলে প্রকারভেদ স্পষ্ট বোঝা যায়।
চিকিৎসা
সার্জারিই ফিস্টুলার একমাত্র চিকিৎসা। অপারেশনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক সংযোগটি সম্পূর্ণভাবে তুলে আনতে হয়। যদি কোনো অংশ থেকে যায় তবে আবার রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি জটিল আকারও ধারণ করতে পারে। যেহেতু ওপর/হাই প্রকার ফিস্টুলার চিকিৎসা একটু জটিল। তাই এ ক্ষেত্রে ফিস্টুলেকটমি ও সেটন ব্যবহার করা হয়। হাই ফিস্টুলার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ফিস্টুলার সংযোগ কেটে আনতে গেলে রোগীর এনাল স্ফিংটার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মল ঝরবে। তাই এ ক্ষেত্রে সেটন ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতির ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। যেসব ক্ষেত্রে ফিস্টুলেকটমি ও সেটন ব্যবহার করা সম্ভব নয়, সেসব ক্ষেত্রে অ্যান্ডোরেকটাল অ্যাডভান্সমেন্ট ফ্লাপ ব্যবহার করা হয়। উন্নত বিশ্বে এ পদ্ধতি বহুলপ্রচলিত ও জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও আমরা এখন এ পদ্ধতির চিকিৎসা সুনামের সাথে হচ্ছে।
শিশুর ডায়রিয়া প্রতিরোধ
শাহরিয়ার তমাল সেলিম
ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর পানিশূন্যতা দূর করার জন্য খাবার স্যালাইন ও তরল খাদ্য যেমন- মায়ের দুধ, ডাবের পানি, ভাতের মাড়, লবণ-গুড়ের শরবত, চিড়ার পানি খাওয়াতে হবে। শিশুর ডায়রিয়া থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ নিশ্চিত করার জন্য ও ডায়রিয়া আবার আক্রান্ত হওয়া রোধ করার জন্য ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে অবশ্যই পরপর ১০ দিন বেবি জিংক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।
বাড়িতে খাবার স্যালাইন তৈরির নিয়ম
যদি আশপাশের দোকানে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খাবার স্যালাইন না পান চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি বাড়িতেও খাবার স্যালাইন তৈরি করতে পারবেন।
একটি পরিষ্কার পাত্রে এক মুঠো গুড় বা চিনি এবং তিন আঙুলের এক চিমটি লবণ ও আধা লিটার বা দুই পোয়া বা দুই গ্লাস বিশুদ্ধ পানি ভালোভাবে মিশিয়ে বাড়িতে খাবার স্যালাইন তৈরি করা যায়।
খাবার স্যালাইন ব্যবহারের নিয়ম
ষ শিশুর বয়স ২ বছরের কম হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর আধা গ্লাস বা ১০-২০ চা চামচ খাবার স্যালাইন শিশুকে খাওয়াতে হবে।
ষ শিশুর বয়স ২-১০ বছরের মধ্যে হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর আধা গ্লাস থেকে এক গ্লাস খাবার স্যালাইন শিশুকে খাওয়াতে হবে।
ষ শিশুর বয়স ১০ বছরের উপর হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর এক গ্লাস থেকে দুই গ্লাস খাবার স্যালাইন শিশুকে খাওয়াতে হবে।
খাবার স্যালাইন তৈরি ও ব্যবহারের কয়েকটি নির্দেশনা
ষ গরম পানিতে মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করা যাবে না বা তৈরী স্যালাইন গরম করা যাবে না।
ষ তৈরী খাবার স্যালাইন ১২ ঘণ্টা পর ব্যবহার করা যাবে না।
ষ দুধ, স্যুপ, ফলের রস বা অন্যান্য কোনো পানীয় এর মধ্যে মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করা যাবে না।
ষ পাতলা পায়খানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খাবার স্যালাইন এবং অন্যান্য তরল খাদ্য খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। কোনোমতেই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।
ষ খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পর শিশু বমি করলে ৫-১০ মিনিট স্যালাইন খাওয়ানো বন্ধ রাখতে হবে। তারপর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- তীব্র গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন
- তাপপ্রবাহ : গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে : পাটমন্ত্রী
- সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি, ঠিক হতে লাগবে ১ মাস
- হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেললে এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থারহুঁশিয়ারি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বাগেরহাটে পর্নোগ্রাফি মামলায় কনস্টেবল কারাগারে
- গোপালগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ, বাবা-ছেলে আহত
- মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- রিক্সা-ভ্যান চালকদের পানি ও স্যালাইন বিতরন করলেন পুলিশ সুপার
- গোপালগঞ্জে বাউবির প্রশিক্ষন কর্মশালা
- আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে : ভূমিমন্ত্রী
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাসলাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর সব নাবিক
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আরও এক দেশ
- ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি
- থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- চলবে ১২০ দিন
নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু - যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- কলকাতায় হিরো আলমকে সংবর্ধনা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- কাশিয়ানীতে মধুমতি বাঁওড়ে ডু’বে স্কুল ছাত্রের মৃ’ত্যু