• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বঙ্গবন্ধুর চলার পথের প্রেরণা ছিল বঙ্গমাতা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০  

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী হিসেবে নয় একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর চলার পথের প্রেরণা ছিলো বঙ্গমাতা। বেগম মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন আলোচকরা।

শনিবার বেগম মুজিব স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে 'গৃহকোণ থেকে জনগণের হৃদয়ে' শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারটির আয়োজন করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থান করে সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত বঙ্গমাতাকে একজন শান্ত ধীরস্থির ধৈর্যশীল সাহসী প্রজ্ঞাবান তেজস্বিনী এবং অমায়িক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি আলোচনার শুরুতে বঙ্গমাতাকে বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে শোক ও শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কোন পিছুটান ছিলো না বলেই বঙ্গবন্ধু দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যেতে পেরেছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর এই চলার পথকে মসৃন করেছিলেন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ মুজিব। বেগম মুজিবের ত্যাগের বিনিময়েই বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠা। বঙ্গবন্ধুর জীবনে সবচেয়ে বড় আশির্বাদ হিসেবে বেগম মুজিব এসেছিলেন।

আমু বলেন, আমরা যারা ছাত্র রাজনীতি করতাম আমরা সবচেয়ে বেশি তার সান্নিধ্য পেয়েছি, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি আমাদের সাহস যুগিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, আর্থিক সাহায়তা দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন একজন মানুষ। আমি বঙ্গমাতার জন্মদিনে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো বঙ্গমাতাকে দেখার। তার মধ্যে আদর্শ ছিলো, মানবতা ছিলো, দেশপ্রেম ছিলো বলেই বঙ্গবন্ধুর চলার পথে কখনও বাধা হননি তিনি। বরং চলার পথে শক্তি ও প্রেরণা দিয়েছেন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও কবি অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ সামাদ বলেন, পৃথিবীতে কিছু মহিয়সি নারী আছেন যারা একজন মহামানবকে তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। আমাদের বঙ্গমাতা বেগম মুজিব তাদের মধ্য একজন। বঙ্গবন্ধুর যে তিন খন্ড আত্মজীবনী বের হয়েছে সেগুলো লিখতে অনুপ্রেরনা দিয়েছিলেন বঙ্গমাতা। ছয় দফা, গনঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরনা হয়ে কাজ করেছেন বঙ্গমাতা মুজিব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ডঃ নাসরীন আহমদ বলেন, বঙ্গমাতা শেখ মুজিবকে কখনও কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি, দেখিনি তাকে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডঃ সাদেকা হালিম বলেন, বঙ্গমাতার জীবন যেনো বেগম রোকেয়ার তিনটি বইয়ের সাথে মিলে যায়। তাকে একজন রাজনীতিক, একজন বিশ্লেষক ও একজন পরামর।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ