বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনে সাম্যবাদ
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনে সাম্যের কথাটা এসেছিল সমাজতন্ত্র হিসেবে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন পুঁজিবাদী অর্থনীতি দর্শনগতভাবেই মানুষে মানুষে বিভেদ উদ্রেককারী।
আর এজন্য অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু বলছেন : ‘আমি নিজে কমিউনিস্ট নই, তবে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বিশ্বাস করি না। একে আমি শোষণের যন্ত্র হিসেবে মনে করি।
এ পুঁজিপতি সৃষ্টির অর্থনীতি যত দিন দুনিয়ায় থাকবে, তত দিন দুনিয়ার মানুষের ওপর থেকে শোষণ বন্ধ হতে পারে না। পুঁজিপতিরা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বযুদ্ধ লাগাতে বদ্ধপরিকর।
নতুন স্বাধীনতাপ্রাপ্ত জনগণের কর্তব্য বিশ্বশান্তির জন্য সংঘবদ্ধভাবে চেষ্টা করা। যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে যারা আবদ্ধ ছিল, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যাদের সর্বস্ব লুট করেছে- তাদের প্রয়োজন নিজের দেশকে গড়া ও জনগণের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক মুক্তির দিকে সর্বশক্তি নিয়োগ করা’ (পৃ. ২৩৪)।
তখন সমাজতন্ত্র শব্দটার জয়জয়কার। সমাজতন্ত্র একটা রোমান্টিক শব্দ। কেবল মনোজগতে নয়, ব্যক্তিজীবনেও বঙ্গবন্ধু অসাম্য দূর করার, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তির পক্ষে কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ায় ছাত্রত্ব হারিয়েছেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আমরা দেখি, দাওয়ালদের (যারা ধান মৌসুমে দিনমজুর হিসেবে ধান কাটে) যৌক্তিক দাবি অগ্রাহ্য করে পাকিস্তান সরকার যখন তাদের ধান কেড়ে নেয় তখন তরুণ মুজিব প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন (পৃ. ১০৪)। ‘কারাগারের রোজনামচা’য় বঙ্গবন্ধু লিখেছেন বৈষম্যহীনতার চর্চার কথা।
কারাগারে তিনি সবার সঙ্গে একসঙ্গে খেতেন, যেমন ব্যবস্থা ছিল তার নিজ বাড়িতে : ‘আমি যাহা খাই ওদের না দিয়ে খাই না। আমার বাড়িতেও একই নিয়ম।... আজ নতুন নতুন শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও দুই পাক হয়। সাহেবদের জন্য আলাদা, চাকরদের জন্য আলাদা।
আমাদের দেশে যখন একচেটিয়া সাম্রাজ্যবাদ ছিল, তখন জমিদার, তালুকদারদের বাড়িতেও এ ব্যবস্থা ছিল না। আজ সামন্ততন্ত্রের কবরের ওপর শিল্প ও বাণিজ্য সভ্যতার সৌধ গড়ে উঠতে শুরু করেছে, তখনই এ রকম মানসিক পরিবর্তনও শুরু হয়েছে। সামন্ততন্ত্রের শোষণের চেয়েও এ শোষণ ভয়াবহ’ (পৃ. ১১)।
যেটি বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন তার থেকে অনেক দূরে সরে এসেছি আমরা; আমার কাছে মনে হয়, আজকে যেটি আমরা বলি ও শুনি- বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে ২০৩০ সালে, মোটামুটি ২০৪০ সালে আমরা ধনী বাংলাদেশ হয়ে যাব- সেটিও ডলারের হিসাবে।
কত ডলার হলে নিম্নআয়ের, কত ডলার হলে মধ্যম আয়ের, কত ডলার হলে ধনী তা বিশ্বব্যাংক ঠিক করে দিয়েছে। ৫০০০ ডলার হলে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হব, ১২০০০ ডলার হলে ধনী হব ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমাদের সব রাস্তা দোতলা হবে, ফ্লাইওভার থাকবে সর্বত্র, দোতলা-তিনতলা সব বিল্ডিং উঁচু হয়ে যাবে।
আমার মনে হয় না জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ এরকম ছিল। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা ছিল সাম্যের বাংলাদেশ। সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে যে রাষ্ট্রে মেহনতি মানুষের কল্যাণ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব, তা বঙ্গবন্ধুর মনে ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে জায়গা করে নেয়। সমাজতন্ত্র বলতে তিনি প্রধানত শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন একটা ব্যবস্থার কথা ভাবতেন। ১৯৫২ সালে চীন ভ্রমণের পর পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সমতাভিত্তিক রাষ্ট্রের পার্থক্য তিনি উপলব্ধি করেন।
অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন : ‘তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হল তাদের জনগণ জানতে পারল ও অনুভব করতে পারল এ দেশ ও এ দেশের সম্পদ তাদের।
আর আমাদের জনগণ বুঝতে আরম্ভ করল, জাতীয় সম্পদ বিশেষ গোষ্ঠীর আর তারা যেন কেউই নন’ (পৃ. ৩৩৪)। বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, শোষণমুক্তি ও বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। চীনে গিয়ে তার এ বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়।
তিনি দেখতে পান কীভাবে চীনে সামন্ততান্ত্রিক ভূমি মালিকানা পরিবর্তিত হয়েছে, ভূমিহীন কৃষক জমির মালিক হয়েছে- ‘আজ চীন দেশ কৃষক-মজুরের দেশ। শোষক শ্রেণি শেষ হয়ে গেছে।’ নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে রাষ্ট্র কীভাবে ছেলেমেয়েদের শিক্ষাপ্রাপ্তির মৌলিক চাহিদার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করেছে (পৃ. ২৩০)।
অনেক স্বপ্নই আমরা এখন দেখি, বঙ্গবন্ধু এত স্বপ্ন দেখেননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ধনী-গরিব, পুরুষ-মহিলা, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলে সাম্যের বাংলাদেশ। সবাই মিলেমিশে থাকব।
- তীব্র গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন
- তাপপ্রবাহ : গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে : পাটমন্ত্রী
- সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি, ঠিক হতে লাগবে ১ মাস
- হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেললে এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থারহুঁশিয়ারি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বাগেরহাটে পর্নোগ্রাফি মামলায় কনস্টেবল কারাগারে
- গোপালগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ, বাবা-ছেলে আহত
- মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- রিক্সা-ভ্যান চালকদের পানি ও স্যালাইন বিতরন করলেন পুলিশ সুপার
- গোপালগঞ্জে বাউবির প্রশিক্ষন কর্মশালা
- আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে : ভূমিমন্ত্রী
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাসলাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর সব নাবিক
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আরও এক দেশ
- ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি
- থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- চলবে ১২০ দিন
নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু - যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- কলকাতায় হিরো আলমকে সংবর্ধনা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- কাশিয়ানীতে মধুমতি বাঁওড়ে ডু’বে স্কুল ছাত্রের মৃ’ত্যু