বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংরক্ষণে টুঙ্গিপাড়ায় নানা উদ্যোগ

বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজরিত স্থানগুলো সংরক্ষের উদ্যোগ নিয়েছে গোপালগঞ্জ পৌর কতৃপক্ষ। মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

বঙ্গবন্ধুর বাল্যস্মৃতি বিজরিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাল, পুকুর, খেলার মাঠ এসবের যথাযথ সংরক্ষণের জন্যেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে পৌর কতৃপক্ষ। জানাযায়, ১৯২৭ সালে জিটি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু। ১৯৩০ সালে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তিনি এ বিদ্যালয়েই লেখাপড়া করেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সিবরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা স্কুলটিতে জাতির পিতার নানা দুর্লভ ছবি নিয়ে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি করেছি।

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার বাড়ির পাশেই বয়ে যাওয়া ছোট খাল এবং ঘাটের হিজল গাছ অনেক স্মৃতি বহন করে চলেছে। এ হিজল গাছের নিচে খালের ঘাটে বঙ্গবন্ধু গোসল করতেন। এখানে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু এই হিজল গাছ বা হিজল তলাই নয়; বঙ্গবন্ধু বাল্যকালের খেলার মাঠ, তিনি যে পুকুরে গোসল করতেন, যে স্কুলে বাল্যকালে লেখাপড়া করেছেন, তার আদি পুরুষ যেখানে বসবাস করতেন-এমন সব জায়গা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে টুঙ্গিপাড়া পৌর কর্তৃপক্ষ ।

সরেজমিন দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধুর এসব স্মৃতিবিজড়িত স্থানে ইতোমধ্যে বেশকিছু কাজ করেছে কর্তৃপক্ষ । এসব স্থান দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরতে পৌর কর্তৃপক্ষ সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে; যেন বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি দর্শনার্থীরা এসে জাতির পিতার বাল্যকাল কোথায় কীভাবে কেটেছে, সে সম্পর্কে জানতে পারেন।

টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী শেখ বোরহানউদ্দিন জানান, এখানে খালের ঘাটে বঙ্গবন্ধু গোসল করতেন, খালে সাতার কাটতেন, হিজল তলায় অবসর সময় কাটাতেন। বিভিন্ন কাজের জন্য এখান থেকেই বঙ্গবন্ধু নৌকায় বের হতেন।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মীর্জা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে তার বাড়ির পাশের খালের পাড় ও হিজল গাছের চারপাশ বাধাই করা হয়েছে। প্রতিদিনই জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত হিজল তলাসহ খালটি পরিদর্শনে আসেন শত শত বঙ্গবন্ধুপ্রমী ৷ সারা দিন নানা বয়সের দর্শনার্থী দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে এসে অনুভব করেন বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ ।