• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

অগ্নিঝরা ৫মার্চ:

বাঁশের লাঠি তৈরি কর, পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২১  

৫ মার্চ ১৯৭১, স্বাধিকার আন্দোলনকে দমাতে সারাদেশে চলে শাসকগোষ্ঠীর নারকীয় হামলা। তবে থেমে থাকে না বাঙালির প্রতিরোধ। রাজধানীর অদূরে টঙ্গী ব্রিজের কাঠের অংশ উপড়ে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় রাস্তা। চট্টগ্রামে বাঙালি-বিহারি সংঘর্ষ এবং সামরিক জান্তার গুলিতে অনেক মানুষ মারা যায়। সারাবাংলায় অব্যাহত থাকে বাঙালির প্রতিরোধ। রাজশাহী এবং যশোরেও মুক্তিকামী জনতার মিছিলে গুলি করে পাক সেনাবাহিনী।

ওইদিন দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে থেকে ‘বাঁশের লাঠি তৈরি কর, পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর’ স্লোগান নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ বিশাল লাঠি মিছিল বের করে। একাত্মতা ঘোষণা করে ড. আহমদ শরীফের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে স্বাধীনতার শপথ নেন ঢাকার লেখক-শিল্পীরা।

এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে নিরস্ত্র জনতাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। সেনাবাহিনীর এই নির্যাতনমূলক কাজের নিন্দা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। অথচ আমরা জানি বিদেশি হামলা থেকে দেশকে রক্ষার জন্যই এই সব অস্ত্র ব্যবহৃত হবার কথা।’

পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া গ্রুপ) আয়োজিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জনসভায় মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামকে সার্থক করার জন্য মুক্তিবাহিনী গঠন করতে হবে। সরকার যদি মনে করে রক্ত নিয়ে বাঙালিকে দমন করা যাবে, তাহলে ভুল করছে। ঘটনা যাই ঘটুক, বাংলার বুকে স্বাধিকারের যে পতাকা আজ উড়ছে, তা নামানো যাবে না।’

ন্যাপ প্রধান মাওলানা ভাসানী বলেন, ‘দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে অনেক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ আজ যে অবস্থায় এসে পৌঁছেছে, এই মুহূর্তে দলমত নির্বিশেষে সকল প্রকার সংকীর্ণতা ও নেতৃত্বের কোন্দল ভুলে স্বাধিকার সংগ্রামে কাতারবন্দী হওয়া প্রয়োজন। যেকোনো ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে আমি ও আমার দল এক কাতারে সংগ্রাম করতে প্রস্তুত।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ