• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বাংলা চলচ্চিত্রের বাজারটা বড় হওয়া দরকার : জয়া

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

কলকাতার আলোচিত ছবি ‘কণ্ঠ’ বাংলাদেশে মুক্তি পাবে শুক্রবার। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত এ ছবির কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। তার অভিনীত প্রথম কোনো ভারতীয় ছবি বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। তাই ছবিটি নিয়ে দর্শক মহলেও বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ছবিটির মুক্তির আগে বুধবার চ্যানেল আই’র ছাদ বারান্দায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সংম্মেলনের পর মুখোমুখি হন জয়া আহসান।

‘কণ্ঠ’ ছবিতে আপনি খাদ্যনালীর সাহায্যে কথা বলেছেন। এটা কিভাবে সম্ভব হয়েছে?
এটা আমার জন্য অনেক বেশি কঠিন ছিল। এজন্য একটা ওয়ার্কশপ করতে হয়েছে। ওয়ার্কশপ করতেই হবে কারণ এখানে আমাকে খাদ্যনালী ব্যবহার করে কথা বলতে হয়েছে। আমাদের কণ্ঠনালী থাকা অবস্থায় খাদ্যনালী ব্যবহার করে কথা বলাটা টাফ ছিল। এজন্য আমাকে বিভিন্ন ক্যান্সার রোগীদের সঙ্গে মিশতে হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। কারণ একজন ডাক্তার ও সাইক্রিয়াটিস্ট দুটি মেলানো একটি চরিত্র আমার সিনেমাটিতে। এখানে আমাকে অনেক ইনফরমেশন দিতে হয়েছে। ল্যারিংস ক্যান্সার হলে কারো যা যা জানতে হয় সবকিছু আমাকে জানতে হয়েছে চরিত্রের কারণে। 

ওপার বাংলার চলচ্চিত্র বাংলাদেশে নিয়ে আসা, আপনার প্রত্যাশা কেমন?
বাংলা চলচ্চিত্রের বাজারটা বড় হওয়া দরকার। এই ছবিটির বিনিময়ে আমার অভিনীত আরো একটি চলচ্চিত্র ‘খাঁচা’ কলকাতায় যাচ্ছে। আসলে বিনিময় মাধ্যমে যেসব চলচ্চিত্র ওখানে যায় সেগুলোর শিল্পমান বেশি ভালো নয়। সেক্ষেত্রে শিল্পমানের দিক দিয়ে ‘খাঁচা’ অনেক বেশি মানসম্পন্ন। একটা দেশের সংস্কৃতি যখন বিনিময় হয় সেখানে চলচ্চিত্র খুব গুরত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের সুন্দর চলচ্চিত্র যদি সেখানে যায় তবে দেশের ভাবমূর্তি ও সংস্কৃতি ও মানুষের মন মানসিকতা সবকিছুর একটা চিত্র ফুটে ওঠে। এজন্য ‘খাঁচা’ চলচ্চিত্রটি ওই দেশে মুক্তি পাচ্ছে এটা আনন্দের। কারণ খাঁচা অনেক ভালো একটি ছবি। ‘কণ্ঠ’ ছবির বিনিময়ে একটি ভালো ছবি কলকাতায় যাচ্ছে এটা সত্যিই আনন্দের। 

‘কণ্ঠ’ ছবিটিতে বিশেষ কি আছে, যার জন্য দর্শক দেখবে?
‘কণ্ঠ’ আমার জন্য একটা জার্নির মতো ছিল। অনেক কিছু শিখেছি, জীবন ও বেঁচে থাকার লড়াইকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। যারা ক্যান্সার আক্রান্ত তাদের জন্য ‘কণ্ঠ’ সিনেমায় দারুণ কিছু মেসেজ রয়েছে। জীবনীশক্তি ফিরে পাওয়ার রসদ রয়েছে। এটা কোনো দেশ কালের নয়, সব বয়সের মানুষের জন্য। ‘কণ্ঠ’র গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। এজন্য বারবার বলছি যারা হতাশায় ভুগছে, যাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাদেরকে বলবো আপনারা ছবিটি দেখুন। জীবনটা অনেক সুন্দর। ‘কণ্ঠ’ জীবনীশক্তি ফিরে পাওয়ার একটি ছবি। আপনারা সবাই কষ্ট করে হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন। আমি নিশ্চিত দর্শকদের ভালো লাগবে।

‘কণ্ঠ’ ছবিটি ওপার বাংলায় বেশ আলোচিত এবং ব্যবসা সফল। এখানে আপনার প্রত্যাশা কেমন? 
ছবিটি সব শ্রেণির দর্শক দেখুক। আমার কলকাতার সব ছবি বাংলাদেশে দেখা যায় না। আমি মূলত যেসব ছবি করি পশ্চিমবাংলার জন্য ছবিগুলো একটু গুরুত্বপূর্ণ। ইউটিউবেও পাওয়া যায় না, পাইরেসির কপিও নেই। এজন্য আমার অভিনয় যারা পছন্দ করে, যারা জয়া আহসানের ভক্ত, বাংলা ছবি দেখতে ভালোবাসেন তাদের বলবো- আমার ক্যারিয়ারের একটা গুরুত্বপূর্ণ ছবি ‘কণ্ঠ’। আপনাদের সবার ভালো লাগবে। 

এখানে যেভাবে ‘কণ্ঠ’র প্রচারণা দেখছি কলকাতায় খাঁচার ক্ষেত্রে এমনটি হবে? 
এটা ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ভালো বলতে পারবে; কবে নাগাদ তারা খাঁচা কলকাতায় মুক্তি দেবে। আমাকে যখন বলবে অবশ্যই আমি প্রচারণায় অংশ নেবো। প্রত্যেকটি ছবি আমার সন্তান। খাঁচা আমার প্রাণের একটি ছবি। খাঁচা মুক্তির সময় অবশ্যই ভালোভাবে প্রচারণায় অংশ নিতে চাই। এরই মধ্যেই কলকাতার দর্শকদের মধ্যে খাঁচা সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আমি চাইবো ছবিটি সেখানেও ভালো সাড়া ফেলুক। আরো একটি বিষয় ছবির প্রচার-প্রচারণা নির্ভর করে পরিবেশক ও ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠানের উপর। কলকাতায় খাঁচার প্রচারণাও নির্ভর করছে তাদের ওপর। 

‘কণ্ঠ’ নিয়ে বিশেষ কোনো কথা?
আপনারা সবাই কষ্ট করে হলে গিয়ে ছবিটি দেখুন এবং বাড়ির সবাইকে নিয়ে র্নিদ্বিধায় ছবিটি উপভোগ করুন। এ ছবিতে অভিনয় করেছি বলে বলছি না। আমি নিশ্চিত ছবিটি দেখে সবাই উপকৃত হবেন। সবার খুব ভালো একটি সময় কাটবে। ছবিটি ভারতে এতোটাই সাড়া ফেলছে যে মালায়াম ভাষায় রিমেক হচ্ছে। দেবী শেঠীর মতো ডাক্তার ও তার হাসপাতাল সরাসরি ছবিটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সঙ্গে আরো বলবো ক্যান্সারের যারা রোগী তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ‘কণ্ঠ’ দেখুন। তারা আবারো নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন ফিরে পাবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ