• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

‘বাংলাদেশে ফোন করে আত্মীয় স্বজনের কাছে নৌকায় ভোট চান’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

বিদেশে যে যেখানে আছেন সেখান থেকে বাংলাদেশে ফোন করুন। পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজনের কাছে নৌকার পক্ষে ভোট চান। ৩০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও নৌকা মার্কার জয় নিশ্চিত করুন। কারন ৩০ তারিখের ভোটের এই রায় যদি আওয়ামীলীগের বিপক্ষে যায় তাহলে বাংলাদেশ ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে। এমনটাই বললেন, নিউইয়র্কে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা। গতকাল রোববার নিউইয়র্কে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিলো। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজন করেছিলো এক আলোচনা সভার। ব্রঙ্কসের বাংলাবাজর এভিনিউর মামুনস টিউটোরিয়ালের এই সভা থেকেই উপরোক্ত আহŸান জানানো হয়। একাত্তরের বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কন্ঠে বাংলাদেশর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি এম এ মুহিতের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শামছুদ্দীন আজাদ। এতে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মাঈন উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ইউএসএনিউজ অনলাইন ও সাপ্তাহিক জনতার কন্ঠের সম্পাদক সাখাওয়াত সেলিম, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ সভাপতি সালাউদ্দিন, মোঃ নূর উদ্দিন, মার্কস হোম কেয়ারের আলমাস আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব কিছু ত্যাগ করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। জীবনের যে সময়টা প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটাবার কথা। সেই সময়ে তিনি পাকিস্তানি শাসকদের রোষানলে পড়ে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। তিনি কোন কিছুতেই আপোস করেননি। বাঙ্গালী জাতির, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি ছিলেন অটল, অনড়। কখনো হায়েনাদের হুমকি ধামকির কাছে মাথা নত করেননি। তার এই অসামান্য, অতুলনীয় আত্মত্যাগ, ৩০ লাখ শহিদের রক্ত এবং লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আজ আমরা এমন একটা দেশে দাড়িয়ে কথা বলছি যে দেশ আমাদের মারার জন্য, বাংলাদেশেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার জন্য জাহাজ ভর্তি করে পাকিস্তানের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলো। এই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদিন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলো। আজও সেই ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বাংলাদেশ যখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হতে চলেছে তখই বাংলাদেশকে সত্যি সত্যি তলাবিহীন ঝুড়িতে রুপান্তরিত করার পায়তারা চলছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জামাত শিবিরকে আবার বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চলছে। আমরা ড. কামালকে ঘৃনা করি। তিনি অকৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু তাকে নিজের একটি আসন ছেড়ে দিয়ে সংসদ সদস্য হবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেই কামাল হোসেন আজ স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বক্তারা খালেদা জিয়াকে বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি ও তার ছেলে তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তাতেও তাদের পেট ভরেনি। নিজের স্বামীর নামে এতিম ফান্ড খুলে সৌদি আরব থেকে অনুদান এনে তাও আত্মসাৎ করেছেন। সেই মামলায় এখন তিনি জেল খাটছেন। তার ছেলে লন্ডনে বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন। এই নির্বাচনে এদের সাঙ্গপাঙ্গদের প্রতিহত না করা গেলে বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। বন্ধ হয়ে যাবে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড। তাই ৩০ ডিসেম্বর যাতে আওয়ামীলীগ আর নৌকার পক্ষে সবাই ভোট দেন এজন্য ফোন করে দেশে আত্মীয় বন্ধুদের বলে দিন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ