• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বিএনপির চেয়ে আমাদের সরকার বেটার’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮  

ক্ষমতার দাপট আওয়ামী লীগ কখনো কোনো দিন দেখায়নি মন্তব্য করে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা এতোদিন ক্ষমতায় আছি, কখনো ক্ষমতার দাপট দেখাইনি। এটা বলতে পারি, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, বিএনপির চেয়ে আমাদের সরকার বেটার সরকার।’শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।উন্নয়নের জন্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা আগের চেয়েও অনেকগুণ বেশি উন্নয়ন উপহার দিয়েছি।’‘আমাদের যারা অন্যায় করেছে, তাদের কিন্তু আমরা ছাড় দেইনি। আমাদের এমপিরাও জেলে আছেন। যদিও দুর্নীতি এখন সারা দুনিয়াতেই আছে। কিন্তু আমরা দুর্নীতিকেও ছাড় দেইনি।’বিএনপি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে, এটা স্বাভাবিক।ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদেরও ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের রাজনীতি। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তার কন্যা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাও মাটি ও মানুষের সঙ্গে আছেন, আমরা মানুষের মাঝে আছি। আমরা ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের সঙ্গে আছি, না থাকলেও আছি। আমরা ক্ষমতায় না থাকলেও পালিয়ে যাবো না। এ দেশেই জন্ম, এদেশেই আমরা মরবো, বঙ্গবন্ধু যে শপথ নিয়েছিলেন। ক্ষমতা আল্লাহর হাতে, জনগণের হাতে। ক্ষমতার দাপট আমরা কোনো দিন দেখাইনি। আর আমরা অপকর্মকারীকে আনপানিশড যেতে দেইনি। আমরা ভুল হলে সংশোধন করে নিই। ভুল হলে সংশোধনের সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।আওয়ামী লীগের আসন্ন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর ইশতেহারের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেবো। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। সম্ভবত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র কিংবা কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ইশতেহার প্রকাশ হতে পারে। এই নির্বাচনী ইশতেহারে দিন বদলের অভিযান, অদম্য বাংলাদেশ, গ্রামীণ উন্নয়নগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এখন চূড়ান্ত হয়নি, আমরাতো প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করিনি। আমরা যাচাই-বাছাই করছি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এবার আমাদের দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতিকরাই বেশি পেয়েছেন। গতবারের চেয়ে এ সংখ্যা এবার বেশি। সাবেক ছাত্রনেতা যারা তৃণমূল থেকে এসেছেন তাদের আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সর্বমোট আসন সংখ্যার মধ্যে ১৬ থেকে ১৭ জন ব্যবসায়ী মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া ৪০ জনের কাছাকাছি মুক্তিযোদ্ধা, আর নতুন মুখ ৫০ জনের কোঠা ছুঁতে পারে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না, কে বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে বিদ্রোহী হলে আমরা অ্যাকশনে যাবো। আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।মহাজোটের শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে কোনো ক্ষোভ আছে কি-না, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, ‘কিছু ক্ষোভতো থাকতেই পারে। এতো বড় দল, মহাজোট। এখানেতো ক্ষোভ-বিক্ষোভ কিছু হবেই, এটা স্বাভাবিক। তবে সেটা আমরা প্রশমিতও করবো। কিন্তু প্রত্যাহার পর্যন্ত যাদের ধৈর্য থাকবে না তাদের জন্য ব্যবস্থা আছে।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা মুজিব কোট পরে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারাতো আওয়ামী লীগেই ছিলেন। তাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ থাকবে। তাদের অবস্থাতো, ‘আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান’র মতো। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে তারা হাত মিলিয়েছেন এটা তাদের দীর্ঘদিন তাড়িত করবে, তাদের অনুতাপটা অনেক দিন থাকবে। বিএনপি এখন সাম্প্রদায়িক দল। জামায়াত সাম্প্রদায়িক দল। তাদের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখি না। তাদের আদর্শে কোনো পার্থক্য, কোনো বিভেদ নাই। ড. কামাল হোসেন ও গণফোরামের নেতারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ