বিপজ্জনক এই খাবারগুলো মৃত্যুও ঘটায়!
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২০
পুরো পৃথিবী জুড়ে ১৯৫টি দেশ রয়েছে। সব দেশেরই রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার। তবে সারাবিশ্বে প্রচলিত কিছু দেশের খাবার রয়েছে যেগুলো আপনাকে খাওয়ার জন্য প্রলোভন দেখাবে।
আবার অন্যদিকে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো দেখেই আপনার খাবারের রুচিই নষ্ট হয়ে যাবে। তবে জানেন কি? কিছু দেশের কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার রয়েছে যা তাদের অনেকের মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে। এমনই কিছু খাবারের খোঁজ জানাবো আজ। যেগুলো এতোটা বিষাক্ত এবং বিপজ্জনক যে আপনি তা খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও দ্বিতীয়বার ভেবে দেখবেন।
অক্টোপাস
এই অস্বাভাবিক সামুদ্রিক প্রাণীটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাওয়া হয়। অক্টোপাস দেখার পর আপনার মনে হবে এটি খেতে হয়তো অনেকটা রাবারের মতো। কিন্তু ভালোভাবে রান্না করার পর এটি অনেকটা নরম ও রসালো হয় খেতে। পর্তুগাল এবং গ্রিসে বিশেষভাবে এটিকে রান্না করে খাওয়া হলেও সেদ্ধ ও ভেজেও খাওয়া হয় অনেক দেশে। জাপান এই খাবারটিকে পরিবেশন করে কাঁচা অবস্থায়। তবে তারা স্লাইস করে এবং এর মল সস হিসেবে খেয়ে থাকে। তবে কোরিয়া সর্বাধিক চরম উপায়ে এটিকে পরিবেশন করে থাকে। তারা একদম জীবিত অবস্থায়ই অক্টোপাস খেয়ে থাকে। কিছু সময় সস মাখিয়ে নেয়। আবার অনেক সময় কোনো সস ছাড়া শুধুও খায় কোরিয়ানরা। খাওয়ার পরের পরিণতি হয় প্রচণ্ড ভয়ানক।
কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, প্রতি বছর কোরিয়ায় মানুষের মৃত্যুর পেছনে জীবিত অক্টোপাস খাওয়াকেই দায়ী করা হয়। জীবিত অবস্থায় অক্টোপাসের পেশি সংকুচিত হয়ে থাকে। তাই এটি খাওয়ার পর তা শ্বাসনালীকে আটকে দিতে পারে। এতে তৎক্ষণাৎ সে ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। কিছুদিন আগে চায়নার একজন ইউটিউব ব্লোগার তার চ্যানেলে জীবিত অক্টোপাস খাওয়ার ভিডিও দিয়েছিলেন। সেখানে দেখা যায় অক্টোপাসটি মেয়েটির মুখের সঙ্গে আটকে ছিল।
ফুগু মাছ
জাপানে খুবই জনপ্রিয় এই ফুগু মাছ। এমনকি অনেক অনেক বছর ধরেই এই মাছ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে জাপানে। তবে ফুগু মাছ বিশ্বের অন্যান্য বিষাক্ত খাবারের তালিকায় অন্যতম। তবে জাপানে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শেফদের দ্বারা এই মাছের খাবার তৈরি করা হয়। এই শেফরা অনেক বছর যাবত এ মাছ কাটার প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। ফুগু মাছের মধ্যে স্ট্রেডাডো টক্সিন নামের এক ধরণের বিষাক্ত তরল রয়েছে। যা মাছের একটি অংশে থেকে থাকে। যা খুব সহজেই রক্তে মিশে যায়। এ বিষের কোনো রং, গন্ধ না থাকায় তা খুঁজে পাওয়াও বেশ কষ্টকর। তাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শেফ ছাড়া এ মাছ কেউ পরিবেশন করে না। এমনো বলা হয় সায়ানাইট বিষের থেকে এ বিষ বেশি ভয়ানক।
বর্তমানে এ মাছ কৃত্রিমভাবে চাষ করা হয়। টোকিওতে তিন হাজার রেস্টুরেন্টের মধ্যে ফুগু মাছ পাওয়া যায়। এসব লাইসেন্সপ্রাপ্ত রেস্টুরেন্টগুলোতে এ মাছ খাওয়া নিরাপদ। সেখানে একটি ফুগু মাছের মূল্য এক হাজার মার্কিন ডলার। ৫০ বছর আগেও এ মাছ খাওয়ার ফলে প্রায় ১০০ জন মানুষ প্রতি বছর জাপানে মারা যেত। তবে এখন তা দুই থেকে তিন জনে নেমে এসেছে।
ফিসিক
প্রতিবছর মিশরের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ফিসিক না খাওয়ার জন্য জনসাধারনকে সতর্ক করা হয়। কারণ এ খাবারটি তৈরি করা হয় মরা এবং পচে যাওয়া মাছ থেকে। প্রথমে মাছ লবণ দিয়ে শুকানো হয়। এরপর একটি বন্ধ ড্রামের ভেতর ৪৫ দিন পর্যন্ত তা পচানো হয়। এরপর প্রচণ্ড দুর্গোন্ধযুক্ত এই মাছ দিয়ে খাবার বানিয়ে পরিবেশন করা হয়। প্রাচীন এই প্রক্রিয়া থেকে খাবার পরিবেশনের ফলে এ থেকে বিষোক্রিয়া হয়ে থাকে। ফলে প্রতিবছর অনেক মিশরীয় মারা যান ফিসিক খেয়ে। সেখানকার মানুষ এসব সতর্ক না মেনে হাজার হাজার ফিসিক খেয়ে থাকে। এমনকি ফিসিক তৈরি করার শেফরাও এসব কথা মানতে নারাজ। তাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্য তারা কোনো ভাবেই হারাতে চায় না। এমনকি তারা এটি খাওয়া নিরাপদও মনে করেন।
এ খাবারটি প্রথম প্রচলন হয়েছিল ফেরাউনের যুগে। তখন বসন্তকালে নীল নদ শুকিয়ে গেলে মানুষের খাবারের সংস্থান কমে যেত। ফলে তারা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর জলাশয়ে ভেসে ওঠা মরা ও পচা মাছ খাওয়া শুরু করে। তখন থেকেই এ খাবারের প্রচলন শুরু হয়। বর্তমানে এটিকে ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
ব্লাড ক্লেইমস
রাশিয়ার মানুষ বিভিন্ন ধরণের খাবার খেয়ে থাকে। যার মধ্যে বেশিরভাগ খাবারের উৎস জানলে আপনার হয়তো ভিমরী খাওয়ার উপক্রম হবে। এসব খাবারের মধ্যে ব্লাড ক্লেইমস অন্যতম। যা পাওয়া যায় দক্ষিণ পূর্ব সাগরে। এসব সামুদ্রিক প্রাণীর শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব বেশি থাকে। চায়নার মতো অনেক দেশ এগুলোকে আবার সুস্বাদু খাবার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। চায়নার মানুষেরা এটিকে কাঁচাই খেয়ে ফেলেন। আবার সেদ্ধ করেও খান অনেকে। কিন্তু এ খাবারটি খাওয়ার ফলে ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস বি এর মতো নানা রোগে সংক্রামিত হতে পারেন। ১৯৮৮ সালে চায়নার সাংহাইতে ব্লাইড ক্লেইমস খেয়ে প্রায় ৪৭ জন মানুষ মারা যান। এছাড়াও তিন লাখেরও বেশি মানুষ বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হয়েছিল। এরপরই চায়নাতে ব্লাড ক্লেইমস খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু তার পরেও চায়নাতে এখনো এটিকে তাদের সুস্বাদু খাবারের তালিকায় রেখেছে। কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যারা সম্পূর্ণ নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে এ খাবার পরিবেশন করে থাকে। কোরিয়ানরা এটিকে অধিক তাপমাত্রায় ফুটিয়ে তারপর খেয়ে থাকে।
কিপায়ান
আমরা সবাই নিশ্চয়ই সায়ানাইট বিষটির সম্পর্কে কমবেশি পরিচিত। তবে কিপায়ান এমন একটি ফল যা সায়ানাইট বিষের মতোই বিষাক্ত। আর এটি পাওয়া যায় মালেয়শিয়ায়। এটি বিষাক্ত হলেও নানা স্বাস্থ্য উপকারী এ ফল অনেক দেশেই খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। তবে সঠিক পদ্ধতি না মেনে প্রস্তুত করলেই কেবল এর বিষে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া এ বিষাক্ত ফল খেলে মৃত্যু অবধারিত। একসময় এ ফলের গাছের চাষ থাকলেও বর্তমানে তা অনেক কমে এসেছে। সেখানকার মানুষ এখন এ গাছ প্রায় ধ্বংস করে ফেলছেন বলে জানা যায়। বিষাক্ত হলেও মালেয়শিয়ার অনেক অঞ্চলের মানুষ এ ফল বিশেষ পদ্ধতিতে রান্না করে খেয়ে থাকেন।
আকী
আকী হচ্ছে জামাইকার জাতীয় ফল। এটি দেখতে নাশপাতির মত। আকী অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল হিসেবে পুরো বিশ্বে পরিচিত। কিন্তু এই অতি সুস্বাদু ফলটিও হতে পারে মৃত্যুর কারণ, যদি না একে সঠিক উপায়ে খাওয়া হয়। কাঁচা কিংবা আধপাকা আকী খাওয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারে যেকারোর। আকী ফলের বিষাক্ত কালো বিচি বমি ও হৃদরোগের কারণ হয়ে দাড়ায়।
কাসাভা
দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কিছু দেশে এটি চিপস এবং কেক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিষাক্ত পদার্থ লিনামারনিন নামক উপাদান থাকে কাঁচা কাসাভাতে। এটি খাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হল এটি খোসা ছড়িয়ে সেদ্ধ করে খাওয়া।
হাকারল মাছ
সবচেয়ে বাজে স্বাদের খাবারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। হাকারল হাঙরের একটি প্রজাতি। কিডনিবিহীন এই মাছটি গ্রিনল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে একটি। কিডনি না থাকার কারণে শরীরের সব বর্জ্য পর্দাথ মাছের ত্বকে জমা হয়। সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করা না হলে এটি যে কারোর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সাধারণত এই মাছ রান্না করা আগে ছয় মাস রোদে শুকানো হয়।
- মেঘনায় হাইমচরে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন, আহত ৮
- বিদেশিদের সাহায্যে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে বিএনপি: কাদের
- তাপপ্রবাহ: ৭ দিন বন্ধ স্কুল-কলেজ
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৫ মামলা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু
- দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- চাষাবাদ সহজ করতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী
- কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ব্যয় নেমেছে অর্ধেকে
- এবার ঈদে দেশীয় পর্যটনে আয় ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বাড়ছে যুক্ত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- বন্ধুত্ব ও শ্রদ্ধাবোধ রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি
- জাতিসংঘে উঠল পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতির কথা
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু টানেলে জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- বাগেরহাটে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর অস্বীকার ইরানের
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে কেন
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
- যারা নুন-ভাতের কথা চিন্তা করেনি তারা এখন মাছ-মাংস নিয়ে ভাবছে
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- গোপালগঞ্জে ধ্রি হুইলার ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- ডাকাত ধরে কাঁধে করে নিয়ে এলেন এএসআই
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন যেভাবে
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- ভারত থেকে ৩শ’ টন পেঁয়াজ আমদানি
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মতুয়া আদর্শ বাস্তবায়নে মত বিনিময় সভা
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা