বিপদে ধৈর্যধারণ করা বীরত্বপূর্ণ কাজ
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২০
প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনায় আক্রান্ত পুরো বিশ্ব। সব মানুষই চরম বিপদসঙ্কুল অবস্থা অতিবাহিত করছে। এ বিপদে ধৈর্যধারণ করা একজন মানুষের জন্য বীরত্বপূর্ণ কাজ। বিপদে ধৈর্যধারণে রয়েছে অনেক ফজিলত ও উপকারিতা। যার চূড়ান্ত নেয়ামত হলো মহান আল্লাহর সঙ্গে দিদার লাভ করা। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু বলেছেন, মুমিন নারী-পুরুষের ওপর সময় সময় বিপদ ও পরীক্ষা এসে থাকে। কখনও সরাসরি তার ওপর বিপদ আসে। কখনও তার সন্তান মৃত্যুবরণ করে। আবর কখনও তার ধন-সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যায়। সে এ সব মুসিবতে ধৈর্যধারণ করার ফলে তার অন্তর পরিষ্কার হতে থাকে এবং পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হতে থাকে। অবশেষে সে নিষ্পাপ আমলনামা নিয়ে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে মিলিত হয়।' (তিরমিজি)
ধৈর্যধারণ করা এ কারণে বীরত্বপূর্ণ কাজ যে, যারা এ গুণের অধিকারী হয় তাদের জীবনে অনেক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। যারা এর বাইরে গিয়ে রুক্ষ ও বদমেজাজি হয়, যাদের ভাষা হয় কর্কশ, তারা জীবনে সফল হয় না।
ধৈর্য বলতে আমরা কী বুঝি?
ধৈর্য একটি মহৎগুণ। মানুষের মেজাজের ভারসাম্যতা রক্ষা করা, আত্মসংযম অবলম্বন করা, বিপদে ভেঙে না পড়ে অটল-অবিচল থাকা, ত্বরিতগতিতে ফল লাভের আশা না করার নামই ধৈর্য।
যে কোনো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজের মন মেজাজকে পরিবর্তন না করা। সর্বাবস্থায় এক সুস্থ ও যুক্তিসঙ্গত আচরণ রক্ষা করে চলা। ধৈর্য-সহ্য, সহিষ্ণুতা না থাকলে কোনো কাজেই সফল হওয়া যায় না। সফলতার জন্য প্রয়োজন তীক্ষ্ণ ও কোমল মেজাজ।
যারা ধৈর্য হারা হয়ে যায়, লোকেরা তাদের ধারে কাছে ভিড়তে চায় না। তাদের থেকে দূরে সরে যায়। সুতরাং সুখে-দুঃখে, অসুখে-বিসুখে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সুস্থ ও সবল হতে কিংবা জীবনে সফলতা লাভ করতে প্রয়োজন ধৈর্যধারণ করা। ধৈর্যধারণই মানুষের জন্য বীরত্বপূর্ণ কাজ। সাহসী মানুষ ছাড়া কেউ এ গুণের অধিকারী হতে পারে না।
সর্বোপরি কথা হলো
কোনো মুমিন বান্দার জন্য শোভনীয় নয় যে, সে বিপদে ধৈর্যহারা হয়ে যাবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা মহামারি দেখা দিলে সে কাণ্ডজ্ঞান শূন্য হয়ে পড়বে। চিন্তা-অস্থিরতায় ভেঙে পড়বে। এমনটি মুমিনের জন্য ঠিক নয়। হাদিসে এসেছে-
'যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণের চেষ্টা করবে আল্লাহ তাআলা তাকে ধৈর্যের শক্তি দান করবেন। ধৈর্য থেকে উত্তম ও কল্যাণকর বস্তু আর কী আছে?'
মুমিন বান্দা যে কাজে ধৈর্যধারণ করে-
ধৈর্য বা সবরের তিনটি স্তর রয়েছে। মুমিন বান্দাই এ তিন স্তরকে নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে পারে। অন্য কারো তা মেনে চলা সম্ভব নয়। আর তাহলো-
- নিজের নফসকে হারাম এবং অবৈধ কাজ থেকে বিরত রাখা।
- নিজের নফসকে ইবাদত ও আনুগত্যে বাধ্য করা।
- যে কোনো বিপদ-আপদে নির্বিঘ্ন ধৈর্যধারণ করা।
যখনই কোনো মহামারি সমতুল্য রোগ-ব্যধির প্রকোপ দেখা দেয়, ঘূর্ণিঝড়-তুফান সমতুল্য মারাত্মক মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেয় সে সব বিপদ-আপদকে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের পরীক্ষা কিংবা আজাব হিসেবে নাজিল হয়েছে বলে মেনে নিয়ে তাতে ধৈর্যধারণ করা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে এর বিনিময়ে পুরস্কার বা প্রতিদান পাওয়ার আশা করাই হচ্ছে মুমিনের প্রকৃত পরিচয়।
তবে এতে হতাশা হওয়ার কিছু নেই যে-
যদি কোনো মুমিন বান্দা চরম বিপদ ও হতাশায় মুখ দিয়ে কোনো কাতর শব্দ ব্যবহার করে কিংবা অন্যের কাছে নিজের সুখ-দুঃখ প্রকাশ করে তবে সবর বা ধৈর্যের পরিপন্থী হবে না। হাশরের ময়দানে এ মর্মে ঘোষণা করা হবে বলে হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-
'ধৈর্যধারণকারীরা কোথায়?'
সেদিন এ ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখিত তিন ধরনের ধৈর্যধারণকারী দাঁড়িয়ে যাবে। আর এসব ধৈর্যধারণকারীদের বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। তারাই হবে সফল।
সুতরাং বিনা হিসেবে জান্নাতে যেতে হলে মহামারি করোনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সব বিপদ-আপদে মুমিন বান্দাকে বীরত্বপূর্ণ ধৈর্যের গুণ অর্জন করতে হবে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধৈর্যের সাহসিকতা দেখাতে হবে।
আসুন, ধৈর্যধারণ করে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করি। যাবতীয় বিপদ আপদে চরম ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। নিজেদের জীবনে ধৈর্যধারণ করে প্রকৃত বীরের পরিচয় দেই। আল্লাহ তাআলা সবাইকে ধৈর্যধারণকারী হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- আম দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- বিশ্বনেতাদের প্রতি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- ভারতের ৫২৭ খাদ্যপণ্যে বিষ : ইউরোপে নিষিদ্ধ
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেনজীর আহমেদের সম্পদের তথ্য চাইল দুদক
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়া
আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা - এআই নীতিমালা
সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ - তীব্র গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন
- তাপপ্রবাহ : গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- কলকাতায় হিরো আলমকে সংবর্ধনা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’