বিশ্বনবির দেশপ্রেম হোক আমাদের অনুপ্রেরণা
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
‘দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ’- ইসলামের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেশপ্রেম কেমন ছিল? আবার যুগে যুগে মুমিন মুসলমানের দেশপ্রেমই বা কেমন ছিল। আর আমাদের দেশপ্রেমই বা কেমন হওয়া উচিত?
মক্কা আল-মুকাররমা। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় জন্মভূমি। কেমন ছিল মক্কার প্রতি তার ভালোবাসা? ‘হ্যাঁ’ তিনি পবিত্র নগরী মক্কা মুকাররমাকে হৃদয়ের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে ভালোবাসতেন। তাঁর এ অপরিসীম ভালোবাসার কথা সবাই জানে। ইসলামের দুশমন প্রতিপক্ষরা যখন তাঁকে চরম হিংস্রতা ও নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে মক্কা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে তখন তিনি পেছন ফিরে প্রিয় মাতৃভূমির দিকে তাকাচ্ছিলেন আর বলেছিলেন-
‘(হে মক্কা!) ভূখণ্ড হিসেবে তুমি কতই না উত্তম, আমার কাছে তুমি কতই না প্রিয়। যদি আমার স্বজাতি আমাকে বের করে না দিত তবে কিছুতেই আমি অন্যত্র চলে যেতাম না।’ (তিরমিজি)
পবিত্র নগরী মক্কার প্রতি বিশ্বনবির অকৃত্রিম ভালোবাসা বিশ্বব্যাপী সব মানুষের জন্য তাদের নিজ নিজ জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা স্থাপনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত ও অনুকরণীয় আদর্শ।
ইসলামের ইতিহাস সাক্ষী- দেশ, জাতি, ভাষা ও ধর্মের জন্য যুগে যুগে জীবন দিয়েছেন নাম জানা-অজানা অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তি। যারা তাদের দেশ, ভাষা ও জাতিকে নিজ সন্তান ও পরিবারের মতো নিঃস্বার্থ ভালোবাসতেন। দেশ ও আদর্শকে ভালোবাসতে গিয়ে অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছেন।
স্বদেশ ও স্বজাতির অধিকার আদায়ে ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু সপরিবারে শহিদ হয়েছেন। যুগে যুগে জীবন দিয়েছেন হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ, মুহম্মদ বিন কাসিম, সাইয়্যেদ আহমদ শহিদ, ইসমাঈল শহিদ, মীর নিসার আলি তিতুমির, টিপু সুলতানসহ অসংখ্য মুসলিম নেতা উল্লেখ্যযোগ্য।
যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য, মানুষের ধর্মীয় ও জাগতিক অধিকার আদায়ের জন্য জীবন দান করে গোটা উম্মতের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। কেননা তারা বিশ্বাস করতেন- ‘হুব্বুল ওয়াতানি মিনাল ইমান অর্থাৎ দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ’।
এ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই নিরস্ত্র বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি জুলুম-শোসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। কোটি মানুষের প্রাচীর তৈরি করে অস্ত্রের মুখে বুক পেতে দিয়েছিলেন। ধর্ম-বর্ণ, জাতিগোষ্ঠী নির্বিশেষে এ দেশের সব জনগনের সার্বিক প্রচেষ্টায় অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা।
বাঙালি জাতি পেয়েছেন ১৬ ডিসেম্বরে ঐতিহাসিক বিজয়। পেয়েছেন আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার বাংলাদেশ। গেয়েছেন মুক্তির গান। তারপর থেকেই এ দেশ, বাংলাদেশ; আমাদের ভালোবাসার গোলাপ ও গৌরবের মিনার।
সুতরাং ইসলামে বিশ্বাসী মুসলমানই নয় বরং দেশের প্রতি সব নাগরিকের ভালোবাসা থাকা আবশ্যক। বিশেষ করে এ ভালোবাসার অনুপ্রেরণা দেখিয়ে গিয়েছেন বিশ্বনবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সাহাবায়ে কেরাম, খোয়াফায়ে রাশেদিনসহ যুগে যুগে অসংখ্য ইসলামি স্কলার ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ব্যক্তিবর্গ।
তবে ইসলামিক স্কলার ও ব্যক্তিরা কুরআন-সুন্নাহ থেকেও পেয়েছেন দেশপ্রেমের বিশেষ অনুপ্রেরণা। কেননা ইসলামে রয়েছে দেশপ্রেমের অত্যাধিক গুরুত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
- ‘তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের ন্যায়পরায়ণ শাসকের আদেশ মেনে চল।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৫৯)
- ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পার। আর তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মর্যাদাবান সে যে আল্লাহকে সর্বাধিক ভয় করে।' (সুরা হুজুরাত : আয়াত ১২)
- হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি খেদমতের নিয়তে রাসুলের সঙ্গে খায়বার অভিযানে গেলাম। অতপর যখন অভিযান শেষে বিশ্বনবি ফিরে এলেন, ওহুদ পাহাড় তাঁর দৃষ্টিগোচর হল। তিনি বললেন, এ পাহাড় আমাদের ভালোবাসে, আমরাও একে ভালোবাসি।' (বুখারি) মদিনার নিকটবর্তী ওহুদের প্রতি এ ছিল বিশ্বনবির ভালোবাসা।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিজ দেশ ও জাতির প্রতি ভালোবাসার বন্ধন অটুট রাখা। বিজয় দিবসে এ ভালোবাসা একে অপরের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। হাদিসের অনুসরণ ও অনুকরণে দেশের জন্য দোয়া করা। দেশের কল্যাণে ভালোবাসার সঙ্গে সব কাজে সহযোগিতা করা। আর ধর্মীয় অনুশাসন মেনে, বিশ্বনবির অনুসরণে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনই হোক প্রতিটি মানুষের প্রকৃত দেশপ্রেম।
- ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাশিয়ার অস্ত্র, পাশে চীনও
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
১৬ মে যুক্তরাষ্ট্র যাবে টাইগাররা - পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিসে `৯ম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে` যোগ দিয়েছেন
- আমাদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাব বিজয়ের স্বর্ণ তরণ অভিমুখে
- বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ৪৬ সদস্য
- আট হাজারের বেশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল
- জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
- এমভি আবদুল্লাহতে চড়েই দেশে ফিরবেন ২১ নাবিক
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ১২
- গোপালগঞ্জের তিনটি উপজেলার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা
- মুজিবনগর দিবস। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে মানুষের স্রোত
- গোপালগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত
- গ্রামীন ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমনের মামলা
- গোপালগঞ্জে গ্রাম পুলিশের ৩০ দিনব্যাপী ‘বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স
- গোপালগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- এডিবির পূর্বাভাস
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.১ শতাংশ - কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না
- নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা
- ভারত প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন পঞ্চাশ বিচারক
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে চার নারীসহ নিহত ৫
- ঈদ সার্ভিসে যুক্ত হবে ঢাকায় চলাচল করা বিআরটিসির ৫৫০ বাস
- ডাকাত ধরে কাঁধে করে নিয়ে এলেন এএসআই
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন যেভাবে
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- গোপালগঞ্জে ১১ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা
- ভারতের যে গ্রামে গর্ভবতী হতে ছুটে যান বিদেশি মহিলারা!
- ভারত থেকে ৩শ’ টন পেঁয়াজ আমদানি
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মতুয়া আদর্শ বাস্তবায়নে মত বিনিময় সভা