• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

মাটির নিচে রহস্যময় আলিশান নগরী!

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২০  

মাটির নিচের ২,০০০ বছর পুরানো শহর ‘ডেরিংকুয়ো’ ১৯৬৩ সালে তুরস্কের নেভশেহির প্রদেশে আবিস্কৃত হয়। বাড়ি মেরামতের সময় আবিষ্কৃত হয় মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা এ শহরটি। প্রায় ২৮০ ফুট গভীর এই শহরটির ছিল ১৮টি স্তর।

এই স্তরগুলো জুড়ে ছিল স্কুল-কলেজ, গীর্জা-মসজিদ, রান্নাঘর, গোয়ালঘরসহ একটি পূর্ণ শহর। প্রায় ২০,০০০ মানুষের বাসযোগ্য করে তৈরি করা হয়েছিল এটি।

শিলা খোদাই করে এই শহরের ঘর-বাড়ি নির্মাণ করা হয়। কয়েক মিলিয়ন বছর আগে এই এলাকাটিতে অগ্ন্যুৎপাতের পর ছাই ও লাভা পরিবর্তিত হয়ে রূপ নেয় নরম শিলায়।

ইতিহাসে লিখিতভাবে কাপাদোসিয়ার এসব ভূগর্ভস্থ শহরের কথা সর্বপ্রথম দেখতে পাওয়া যায় গ্রীক সেনা ও ইতিহাসবিদ জেনোফোনের লেখায়। তিনি বহুকাল ধরে এই অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। তার লেখা ‘অ্যানাবেসিস’ নামক বইতে তিনি লিখেছেন, ‘এখানকার ঘরগুলো ছিল মাটির নিচে। ঘরের প্রবেশের মুখগুলো কুয়ার মতো হলেও নিচে ছিল যথেষ্ট প্রশস্ত।

 

গবাদিপশুর যাতায়াতের জন্য ছিল সুড়ঙ্গ। তবে মানুষ যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতো সিঁড়ি। ঘরগুলোতে ছাগল, ভেড়া, বাছুরসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি পোষা হতো এবং প্রতিটি ঘরেই এদের সবার খাবারের ব্যবস্থা ছিল।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ