মানব পাচারকারীদের গ্রেফতারে সিআইডি তদন্তে নেমেছে
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১ জুন ২০২০
মানব পাচারকারী ও দালালদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য তদন্তে নেমেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। লিবিয়ায় গত ২৮ মে মানব পাচার সিন্ডিকেটের হাতে ২৬ বাংলাদেশী নিহতের ঘটনায় তদন্ত করছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ থেকে কারা কীভাবে, কাদের মাধ্যমে, কোন এজেন্সির হয়ে লিবিয়া পৌঁছেছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে তারা। লিবিয়ায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুব দ্রুতই মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারা যাবে বলে আশাবাদী সিআইডি। তদন্ত সংস্থা সিআইডির সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, মরক্কোর রাজধানীতে বসে লিবিয়ায় মানব পাচার করছে মানবপাচারকারী মাফিয়ারা। এই মাফিয়া সিন্ডিকেটের সদস্য বা দালাল চক্রের অনেকেরই বাড়ি সিলেট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। গত বছর মার্চে পাচারের শিকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে এই সিন্ডিকেটের তথ্য পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। লিবিয়ায় গত ২৮ মে মানব পাচার সিন্ডিকেটের হাতে ২৬ বাংলাদেশী নিহতের ঘটনায় সেই ক্লু ধরেই তদন্ত করছে তদন্ত সংস্থাটি।
সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, আহত বাংলাদেশী ও তাদের আত্মীয়স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশীরা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পূর্বে প্রায় এক মাস আগে মানবপাচারকারীদের সহযোগিতায় বাড়ি থেকে রওনা দেয়। এরপর তারা লিবিয়ার বেনগাজীতে যায়।
তারা মূলত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে লিবিয়ায় পৌঁছায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ইতালি যাওয়া কঠিন হয়ে যাওয়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরে বেনগাজীতে আটকা পড়ে। বর্তমানে সামার সিজন শুরু হওয়াতে পাচারকারীরা কিছু কিছু অভিবাসীদের লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল হতে ইতালি প্রেরণ শুরু করে। যদিও তাদের বেশিরভাগ নৌকাই লিবিয়ার কোস্টগার্ডের নিকট আটক হচ্ছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে বাংলাদেশী দালাল কর্তৃক প্রচারিত সাগর পথে বাংলাদেশীদের ইতালি পৌঁছানোর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। যা দেখে তারা যেকোন উপায়ে ইতালি যাওয়ার জন্য লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে আসার চেষ্টা শুরু করেন। বাংলাদেশের ৩৮ জন দুই গ্রুপে লিবিয়ার স্থানীয় বাংলাদেশী দালালদের সহযোগিতায় ১০-১৫ দিন পূর্বে মরুভূমি হয়ে বেনগাজী থেকে পশ্চিম লিবিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। লিবিয়ায় বর্তমানে যুদ্ধ ও করোনার কারণে পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলের শহরে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পাচারকারীরা মরুভূমির অপ্রচলিত পথ দিয়ে তাদের প্রেরণ করে। পথে চেকপয়েন্ট এড়ানোর জন্য মরুভূমির মধ্যে তাদের অনেক পথ ঘুরতে হয়। বেনগাজী থেকে যাত্রার দুইদিন পর তাদের প্রথমে এক অপহরণকারী চক্র ধরে মরুভূমিতে এক ঘরে আটকে রাখেন। তিনদিন পর জিম্মিদের সারারাত ভ্রমণের পর মিজদার পাচারকারীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে প্রথম গ্রুপটি অর্থের বিনিময়ে মিজদার গ্রুপের নিকট জিম্মিদের বিক্রি করেছে। মিজদায় আনার পর থেকে শুরু হয় তাদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসাবে প্রত্যেক জনের কাছ থেকে ১০-১২ হাজার মার্কিন ডলার মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে এবং মুক্তিপণের অর্থ দুবাই প্রেরণের কথা জানান। মুক্তিপণ আদায়ে বিলম্ব হওয়ায় দিনকে দিন নির্যাতন বাড়তে থাকে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মে তারিখ দিবাগত রাতে অপহরণকারীর মূলহোতা ও তার দুয়েকজন সহযোগী পুনরায় অস্ত্রসহ জিম্মি অভিবাসীদের ক্যাম্পে আসে এবং নির্যাতন শুরুর একপর্যায়ে কয়েকজন আফ্রিকার নাগরিক তার অস্ত্র কেড়ে নিতে সক্ষম হয়। যাতে কয়েকজন বাংলাদেশীও সহযোগিতা করে থাকতে পারে বলে জানা যায়। এই অবস্থায় আফ্রিকান নাগরিকের ছোড়া গুলিতে অপহরণকারী মূলহোতা নিহত হন এবং তার সহযোগী আহত হন। তবে এই খবরটি নিহত লিবিয়ানের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের কাছে বাংলাদেশীরা তাকে হত্যা করেছে বলে পৌঁছায়। একপর্যায়ে তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে সশস্ত্রভাবে জিম্মি অভিবাসীদের ক্যাম্পে হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। যার ফলে এই বর্বরোচিত হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়ায় নৃশংস হত্যাকা-ের ঘটনার সময় জিম্মি ৩৮ জন বাংলাদেশী জিম্মি ছিল। এর মধ্যে ৩৫ জনের পরিচয় ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস নিশ্চিত করেছে। যাদের মধ্যে সম্ভাব্য নিহত ২৬ জনের মধ্য ২৩ জন এবং আহত ১১ জনসহ বেঁচে যাওয়া ১২ জনের পরিচয় প্রকাশ করেছে। বেঁচে যাওয়া দুইজনের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলার সূত্র ধরে সিআইডি জানতে পেরেছে, কিভাবে তারা জীবিত আছেন তা পরিষ্কার বলতে পারে না। কোনভাবে কারও নিচে ছাপা পড়ে বা কিনারায় পড়ে থেকে বা মৃত্যুর ভান করে হয়ত তারা বেঁচে গেছেন। আহত অবস্থায় তাদের মিজদা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেও গন্ডগোল দেখা দিলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত অন্য শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু পাচারকারীদের ভয়ে তাদের আশপাশের কোন হাসপাতালে ভর্তি নেয়নি। এক পর্যায়ে তাদের জিনতান হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ত্রিপোলিতে পাঠানো হয়। বর্তমানে আহত ১১ জন বাংলাদেশী ত্রিপোলির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে দূতাবাস জানিয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় নিহত সকলের মৃতদেহ ইতোমধ্যে মিজদায় দাফন করে ফেলা হয়েছে।
সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশীর মর্মান্তিক ঘটনার মাধ্যমে সাগর পথে ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্নের সমাধি ঘটেছে। এই পথের স্বপ্নে প্রতিবছরই বাংলাদেশীরা প্রাণ দিচ্ছে। গত বছর এক নৌকাডুবির ঘটনায় ৩৭ জন ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুবরণ করেছিল, যাদের লাশও পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্রতি বছর শতশত বাংলাদেশী লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে আটক হয়ে লিবিয়ার সফর জেলে বন্দী হচ্ছেন এবং চরম নির্যাতন সহ্যের পর খালি হাতে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। অথচ তারপরও বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য নতুন করে বাংলাদেশীরা অবৈধভাবে লিবিয়ায় আসছে। লিবিয়ার মিজদা শহরের সংগঠিত হত্যাকান্ড ঘটনাস্থলে মোট ৩৮ জন বাংলাদেশী জিম্মি ছিলেন। এছাড়া উক্ত ক্যাম্পে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের আরও শতাধিক নাগরিক বন্দী ছিলেন। এই ক্যাম্পটি মিজদার স্থানীয় একজন লিবিয়ান নাগরিকের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল, যার বয়স মাত্র ৩০ বছর। তার নামে বিভিন্ন অপরাধ ও মানবপাচারের অভিযোগ ছিল। এছাড়াও তার সহযোগী হিসাবে আরও কয়েকজন অস্ত্রধারী কাজ করত। তারা স্থানীয় কোন মিলিশিয়া গ্রুপের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারে। এই চক্রটি মূলত মরুভূমির মধ্য দিয়ে পাচারের সময় আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের জিম্মি করে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। জিম্মি করার মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যাকান্ড ঘটায়। বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের জন্য রয়েছে পাচারকারী ও দালাল চক্র। মানবপাচারকারী ও দালাল চক্রকে খুঁজে বের করার জন্য তদন্তে নেমেছে বলে সিআইডি কর্মকর্তার দাবি।
- ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাশিয়ার অস্ত্র, পাশে চীনও
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
১৬ মে যুক্তরাষ্ট্র যাবে টাইগাররা - পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিসে `৯ম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে` যোগ দিয়েছেন
- আমাদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাব বিজয়ের স্বর্ণ তরণ অভিমুখে
- বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ৪৬ সদস্য
- আট হাজারের বেশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল
- জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
- এমভি আবদুল্লাহতে চড়েই দেশে ফিরবেন ২১ নাবিক
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ১২
- গোপালগঞ্জের তিনটি উপজেলার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা
- মুজিবনগর দিবস। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে মানুষের স্রোত
- গোপালগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত
- গ্রামীন ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমনের মামলা
- গোপালগঞ্জে গ্রাম পুলিশের ৩০ দিনব্যাপী ‘বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স
- গোপালগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- এডিবির পূর্বাভাস
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.১ শতাংশ - কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না
- নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র
- প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা
- ভারত প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন পঞ্চাশ বিচারক
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে চার নারীসহ নিহত ৫
- ঈদ সার্ভিসে যুক্ত হবে ঢাকায় চলাচল করা বিআরটিসির ৫৫০ বাস
- ডাকাত ধরে কাঁধে করে নিয়ে এলেন এএসআই
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন যেভাবে
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- গোপালগঞ্জে ১১ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা
- ভারতের যে গ্রামে গর্ভবতী হতে ছুটে যান বিদেশি মহিলারা!
- ভারত থেকে ৩শ’ টন পেঁয়াজ আমদানি
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মতুয়া আদর্শ বাস্তবায়নে মত বিনিময় সভা