• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

যে কোনো সাধারণ বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার প্রতিষেধক তেজপাতা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২০  

মাংস কিংবা বিরিয়ানি অথবা পোলাও এসব রেসিপিতে তেজপাতার ছোঁয়া থাকা চাই-ই-চাই। খাবারে সুন্দর সুবাস ছড়াতে তেজপাতার জুড়ি নেই। জানেন কি, শুধু রান্নায় নয়, তেজপাতা রয়েছে নানান ওষুধি গুণও।

তাইতো বিশ্বের বহু দেশে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ওষুধি গুণ থাকার কারণে তেজপাতা কদর রয়েছে বেশ। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক তেজপাতা কোন কোন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে- 

যে কোনো ব্যথা উপশমে

তেজপাতার তেল বাতের ব্যথা, মচকানো, কোনো কিছুর চাপ লেগে আঘাত প্রাপ্ত স্থানে কিংবা যে কোনো সাধারণ বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করে। মাইগ্রেন ও মাথাব্যথায় কপালি তেজপাতার তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক রোধে 

তেজপাতায় এমন সব ভেষজ উপাদান আছে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রোগ প্রতিরোধ হৃদযন্ত্রকে রাখে নিরাপদ। বাড়ায় হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা।

ঠাণ্ডা-কাশি সারাতে

ঠাণ্ডাজনিত যে কোনো রোগ, ফ্লু ও অন্যান্য সংক্রমণ রোধে লড়াই করে তেজপাতা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে, পানিতে দু-তিনটি তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট গরম করুন। এই পানিতে ভেজানো একটি কাপড় বুকের ওপর রাখুন। ফ্লু, ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যাবে। জ্বর সারাতেও সহায়তা করে তেজপাতা।

বদহজমে সহায়ক  

তেজপাতা হজমক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। হজমক্রিয়ায় সমস্যা থাকলে তা সারিয়ে তোলে। বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তেজপাতা দিয়ে গরম করা এক গ্লাস পানি পান করুন। স্বস্তি পাবেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে 

টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় তেজপাতার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তেজপাতায় রক্তে শর্করা বা চিনি, কোলেস্টেরল কমাতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সহায়তা করে। সর্বোচ্চ ফল পেতে তেজপাতা গুঁড়া করে টানা এক মাস খেতে পারেন। তেজপাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ভালো রাখে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ