• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

রমজানে বেঁধে দেওয়া হলো ৬ পণ্যের দাম

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২১  

পবিত্র রমজান মাসে বাড়তি চাহিদা এবং করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউনে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়ানো হচ্ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। তাই তেল, চিনি, ডালসহ ছয় পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বেঁধে দেওয়া সেই দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলো।

গতকাল সোমবার রাজধানীর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ। সংবাদ সম্মেলনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেই পণ্যের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। আর এই চাহিদার বিপরীতে দেশের উৎপাদন, আমদানির পরিমাণ ও মূল্য বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রোজার বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ঢাকায় ২৮টি মনিটরিং দলও কাজ করবে। কোনো ব্যবসায়ী অসদুপায় বা অন্য কোনো অজুহাতে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে বেঁধে দেওয়া নতুন দাম অনুযায়ী খুচরা বাজারে ছোলা কেজিপ্রতি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, পেঁয়াজ ৪০, ভোজ্যতেলের এক লিটারের বোতল ১৩৯, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭ থেকে ৬৯ ও সরু দানার ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকায় বিক্রি করতে হবে। চিনি কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায় কিনতে পারবেন ক্রেতারা। সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ ও মধ্যম মানের ২০০ থেকে ২৫০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, রমজান মাসে ছোলার চাহিদা ৮০ হাজার মেট্রিক টন। গত জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে এক লাখ টনেরও বেশি। পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে ২৬ লাখ টন। এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা তিন লাখ টন। গত জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে চার লাখ টনেরও বেশি। ভোজ্যতেলের (সয়াবিন) বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ টন। এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা দুই লাখ টন।

জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ লাখ টন। মসুর ডালের বার্ষিক চাহিদা পাঁচ লাখ টন, এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ৮০ হাজার টন। জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১ দশমিক ৮৩ লাখ টন। চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৮ লাখ টন, এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ১ দশমিক ৩৬ লাখ টন। জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১৩ দশমিক ২৩ লাখ টন। খেজুরের বার্ষিক চাহিদা ৬০ থেকে ৭২ হাজার টন, এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন। জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৬২ হাজার টন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ