রাহাত খান বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, একুশে প্রদকপ্রাপ্ত রাহাত খান ছিলেন একাধারে কথা সাহিত্যিক, লেখক ও সাংবাদিক। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার কার্যালয়ে কথাসাহিত্যিক ও পত্রিকাটির প্রয়াত সম্পাদক রাহাত খানের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে রাহাত খান এই নামটি শুনেছি। তার সঙ্গে আমার পরিচয় প্রতিদিনের সংবাদ’র সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার সময়। তিনি অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পূর্ণ ব্যক্তি।

প্রতিদিনের সংবাদ’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এস এম মাহ্বুবুর রহমানের সভাপতিত্ব দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও   যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়েনর সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ও রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান।

রাহাত খানের স্ত্রী অপর্না খানকে আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, রাহাত খানের পরিবারের সঙ্গে প্রতিদিনের সংবাদ পরিবার এবং কর্তৃপক্ষ সবসময়ই যোগাযোগ রাখবে এবং তাদের পাশে থাকবে।  

সাইফুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে সম্পাদক রাহাত খান একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি যেখানে ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইত্তেফাক ও প্রতিদিনের সংবাদসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিকতার জন্য যে সকল গুণ থাকা দরকার, তার মধ্যে সবই ছিল। এই জন্য তিনি প্রসিদ্ধ হয়েছেন।

কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, রাহাত খান সংবাদ ও রাজনীতি যেভাবে বিশ্লেষণ করতেন, তার মতো এখন আর কেউ করেন না। তার মতো মানুষ পাওয়া বর্তমানে খুব কঠিন। তিনি একজনই।

সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, রাহাত খান আমাদের গর্ব। তিনি আমাদের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন তাঁর সৃষ্টি ও কর্মের মধ্যে।

রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার কার্যালয়ে আসার স্মৃতিচারণ করে বলেন, কিছুদিন আগেও যে চেয়ারে বসে ছিলেন রাহাত খান, সেই আসনটি এখন খালি।

এস এম মাহ্বুবুর রহমান বলেন, ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের মধ্যে সংবাদপত্র জগতে কাজ শুরু করেন রাহাত খান। সর্বশেষ প্রতিদিনের সংবাদের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মত মানুষকে সম্পাদক হিসেবে পেয়ে আমার আনান্দিত ও গর্বিত ছিলাম।

একুশে পদকজয়ী রাহাত খান গত ২৮ শে আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৬ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।