রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভিয়েতনামকে পাশে পাওয়ার আশা বাংলাদেশের
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৯
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেন সামিনা নাজ। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে আসা এই কূটনীতিক দুই দেশের মধ্যকার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখছেন খুব কাছ থেকে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সমস্যার এই সময়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভিয়েতনাম।
দৈনিক গোপালগঞ্জ: ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সংক্ষেপে আপনার অভিজ্ঞতা শুনতে চাচ্ছি।
সামিনা ন্যাজ: ২০১৭ সালের আগস্টে আমি এখানে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেই। গত দুই বছর ধরে এখানকার বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি এখানকার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলাদেশ দেখেন এখানকার একজন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বাণিজ্য সংগঠনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডেস্ক ও সংগঠন, এমনকি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরি করার। তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে আমাদের উন্নয়নের চিত্র তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তাদের বোঝাতে চেয়েছি যে, আমরা দুই পক্ষই একে অপরের সাহায্যে কাজ করতে পারি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরেক ধাপ উপরে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
দৈনিক গোপালগঞ্জ: ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রেক্ষাপট কেমন?
সামিনা ন্যাজ: ২০২০ সালে পররাষ্ট্র বিষয়ে দারুণ কিছু করার সুযোগ রয়েছে ভিয়েতনামের। সে বছর আশিয়ান চেয়ার হচ্ছে তারা। অন্যদিকে জাতিসংঘের অস্থায়ী নিরাপত্তা পরিষদে ২০২০-২১ সালের জন্য সদস্য নির্বাচিত হয়েছে দেশটি। কাজেই ২০২০ সাল ভিয়েতনাম ও দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আশিয়ানভুক্ত দেশ হিসেবে ভিয়েতনাম গুরুত্বপূর্ণ। আবার সার্কভুক্ত ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে আমরাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশই নিজেদের জায়গায় সক্ষমতায় প্রায় সমান। তাই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সাহায্য ও যোগাযোগ বাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। দুই পক্ষরই একে অপরকে আরও ভালো করে জেনে, এগিয়ে এসে বন্ধন গড়ে তোলা দরকার।
দৈনিক গোপালগঞ্জ: বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
সামিনা ন্যাজ: প্রথমে আমাদের ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বুঝতে হবে যে, আমরা একে অপরকে কোন দৃষ্টিতে দেখি। আশির দশকের শেষ দিকে অথবা নব্বইয়ের শুরুর দিকে ভিয়েতনাম নিয়ে যখন আমরা আমাদের কৌশল নির্ধারণ করি, তখন তাদের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশ ধরে সি-ক্যাটাগরিতে রেখে আমাদের কৌশলগুলো নির্ধারণ করা হয়। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক বা দ্বিপাক্ষিক সবকিছুতেই এভাবে কৌশল নির্ধারণ করা হয়। তবে এখন আমরা সেই অবস্থানকে পুনর্বিবেচনা করছি। কারণ ভিয়েতনাম এখন আর আগের অবস্থানে নেই। অন্যদিকে আমাদেরও উন্নতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে আমাদের অর্থনীতিতে দারুণ সাফল্য এসেছে। সব মিলিয়ে এখন আমরা ভিয়েতনামকে সেভাবে মূল্যায়নের চেষ্টা করছি যেভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানো যায়। বাণিজ্যসহ দুই পক্ষের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক, যেমন কূটনৈতিক অর্থনৈতিক, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দৃঢ় করতে কাজ করে যাচ্ছি।
উদাহরণ দিয়ে বললে, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের জন্য অনেক আগে থেকেই আমন্ত্রণ জানানো ছিল। কিন্তু সেটি হচ্ছিল না। ২০১৫ সালে আমাদের রাষ্ট্রপতি ভিয়েতনাম সফর করেন এবং এখানকার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। আমার মনে হয়, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশে নিতে পারলে দুই পক্ষের মধ্যকার সম্পর্কে একটা ‘টার্নিং পয়েন্ট’ আসবে। সবপর্যায়ে কথা বলে সেই সফর সফলভাবে করতে পেরেছি।
দৈনিক গোপালগঞ্জ: বাংলাদেশের প্রতি ভিয়েতনামের প্রতিক্রিয়া কেমন?
সামিনা ন্যাজ: দুই দেশই একে অপরের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। আমাদের আর ওদের স্বাধীনতার ইতিহাস দেখলে অনেক মিল পাওয়া যাবে। আমাদের যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আছেন, তেমনি তাদের আছেন হো চি মিন বা আংকেল হো। তবুও দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগটা সেভাবে ছিল না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে যে একটি আবেগীয় ব্যাপার আছে, সেটি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যেমন দক্ষিণ এশিয়ায় আমরাই প্রথম ও পুরো এশিয়ায় দ্বিতীয়, যারা ভিয়েতনামকে আগে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আমি এখানে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে দারুণ কিছু পরামর্শ ও তথ্য দিয়েছেন, যা আমার কাজে খুব সাহায্য করেছে। যেমন- তার ভাই শহীদ শেখ কামাল ভিয়েতনামের স্বাধীনতার পক্ষে ১৯৭২-এ শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে এখানে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও শিক্ষার্থী অবস্থায় ভিয়েতনামের স্বাধীনতার স্বপক্ষে আন্দোলন করেছিলেন। সেসব দলিল ও ছবি ভিয়েতনামের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরেও সংরক্ষিত আছে। ভিয়েতনামের সর্বোচ্চ মহলে এসব বিষয় আমি তুলে ধরলাম। তারা তখন ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের ‘ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট’ আরও বেশি উপলব্ধি করলো। আর তারপর থেকেই ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও সাবলীল হয়।
দৈনিক গোপালগঞ্জ: রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জানতে চাই। ভিয়েতনামকে কতটুকু পাশে পাচ্ছি আমরা?
সামিনা ন্যাজ: দেখেন, মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম দুটোই কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম-প্রধান। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা হলেও এখানে বৌদ্ধ ধর্মের বেশ প্রভাব। ভিয়েতনামে কিছু দূর পরপর দেখবেন মন্দির বা প্যাগোডা আছে। শুধু বৌদ্ধ ধর্মের না, ওদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামেও ওরা মন্দির বানায়। কাজেই রোহিঙ্গা ইস্যু বা যেকোনো ইস্যুতেই ভিয়েতনাম মিয়ানমারকে আগে সমর্থন দেবে। তবে তাই বলে আমরা আমাদের কূটনৈতিক চেষ্টা থামিয়ে রাখিনি।
সবশেষ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ২০১৭, ’১৮ ও ’১৯-এর তিনটি ভোটাভুটিতে ভিয়েতনাম জাতিসংঘ বিলের বিপক্ষে ‘না’ ভোট দিয়েছে। এমন বাস্তবতায় আমরা ভিয়েতনামকে আহবান জানাচ্ছি অন্তত তারা যেন ভোট দেওয়া থেকে ‘বিরত’ থাকে। এটুকু হলেও আমাদের জন্য বেশ সফল একটি ব্যাপার হবে। তবে আবারও বলছি, বিষয়টিকে মোটা দাগে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। ওদের ধর্ম, আঞ্চলিক সম্পর্ক, কমিউনিজম অনেক কিছু জড়িত। তবুও ভিয়েতনামকে পাশে পেতে আমরা আশাবাদী।
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু টানেলে জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- বাগেরহাটে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর অস্বীকার ইরানের
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে কেন
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
- যারা নুন-ভাতের কথা চিন্তা করেনি তারা এখন মাছ-মাংস নিয়ে ভাবছে
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- গোপালগঞ্জে ধ্রি হুইলার ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- টানা দুইদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, হিট এলার্ট জারি
- ৮৭ হাজার টাকার মদ খান পরীমণি, পার্সেল না দেওয়ায় শুরু হয় পাগলামি
- ৪ লাখ টাকায় হামলা করানো হয় সালমান খানের বাড়িতে
- বাগেরহাটে প্রাণি সম্পদ মেলা
- বিছানার ভেলায় চড়ে সদাই কিনছেন শারজাহবাসী
- সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: কাদের
- ৫ লাখ টাকায় সালমানের বাসায় গুলির নির্দেশ!
- মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস: প্রধানমন্ত্রী
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে চার নারীসহ নিহত ৫
- ডাকাত ধরে কাঁধে করে নিয়ে এলেন এএসআই
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন যেভাবে
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- ভারতের যে গ্রামে গর্ভবতী হতে ছুটে যান বিদেশি মহিলারা!
- ভারত থেকে ৩শ’ টন পেঁয়াজ আমদানি
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মতুয়া আদর্শ বাস্তবায়নে মত বিনিময় সভা
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার