• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

শীত রুখতে ইলেকট্রিক গেজেট

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০  

কুয়াশায় মোড়ানো সকাল, শিশির ভেজা ঘাস আর হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। গ্রাম বাংলায় বেশ আগে ভাগেই এসে গেছে শীত। শীতের তীব্রতায় ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করতে গিয়ে পেতে হয় বেগ। ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার কথা মনে হলেও দাঁত শিরশির করে ওঠে। এমনকি ঠাণ্ডা পানির ব্যবহারে সর্দি, কোল্ড এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এমন সব সমস্যার ইনস্ট্যান্ট সমাধান হতে পারে ইলেকট্রিক গেজেট। চলুন জেনে নিই কোন গেজেটগুলো আপনার শীত ভীতিকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে। 
 

ফ্লাস্ক

যাদের সবসময় পানি ব্যবহার করতে হয় বা পান করতে হয়, কিন্তু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহারে সমস্যা রয়েছে; বিশেষ করে, ছোট শিশু, বয়স্ক মানুষজন কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে যাদের তারা ব্যবহার করতে পারেন ফ্লাস্ক। পানি গরম করে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি চা বানিয়ে খাওয়ার জন্যও দারুণ ব্যবহার উপযোগী পণ্য এটি। এটি অনেকটা ইলেকট্রিক কেটলির মতো কাজ করে। দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্লাস্ক পাওয়া যায়। মান ভেদে ৫০০ থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা নন ব্র্যান্ড এবং ব্র্যান্ডেরগুলো ধারণক্ষমতা অনুযায়ী ১ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার টাকা দাম পর্যন্ত দাম হতে পারে।

রুম হিটার

সন্ধ্যা রাতে শীত কিছুটা কম হলেও গভীর রাতে শীত বেড়ে যায়। রুম গরম রাখতে ব্যবহার করতে পারেন রুম হিটার। ইলেকট্রিক এই হিটার থেকে গরম বাতাস বের হয় যা রুমকে উষ্ণ রাখে। শীত থেকে বাঁচতে এই গেজেটটি হতে পারে আপনার পরিবারের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। নোভা থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায় কেনা যাবে। এছাড়া হিটাচি, মিয়াকো, নোভিনা, ওয়ালটনের মতো ব্র্যান্ড থেকেও বাজার যাচাই করে সংগ্রহ করতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্য। 

ইলেকট্রিক কেটলি

দৈনন্দিন নানা কাজে পানির ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু শীতে ঠাণ্ডা পানির ব্যবহার যারা একেবারেই এড়িয়ে চলতে চান তারা ইলেকট্রিক কেটলি কিনে নিতে পারেন। এক লিটার থেকে শুরু করে ১০ লিটার পর্যন্ত ধারণক্ষমতা সম্পন্ন কেটলি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।

ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার

সকালের অফিস কিংবা নানা প্রয়োজনে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল অনেকটা বাধ্য হয়েই করতে হয়। তাদের জন্য অন্তত এটি হতে পারে আদর্শ পণ্য। বিদ্যুৎ সংযোগ, স্থান দেয়াসহ নানা কারণে যারা গিজার লাগাতে পারেন না তারা বাথরুমে শাওয়ারে ব্যবহার করুন ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার। চাইলে ট্যাপের সঙ্গেও লাগাতে পারেন। যা মান ভেদে ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে কেনা যায়। 

গিজার

হিটারের চেয়ে ফ্লাট কিংবা বাসা বাড়ির পানির ট্যাংকিতে গিজারের ব্যবহারই বেশি। এতে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে পানি গরম করতে হয়। নিজে লাগাতে না পারলে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো লোক দিয়ে সার্ভিস দিয়ে থাকে। 

এসব ইলেক্ট্রনিক পণ্য ঢাকাসহ সারাদেশের সুপার মার্কেট, ইলেকট্রিক মার্কেট, ইলেকট্রিক শোরুমগুলোতে পাওয়া যাবে। এর বাইরে অনলাইন থেকে কিনতে চাইলে দারাজ, আলিবাবা, অ্যামাজন, ইভ্যালি, প্রিয়শপসহ বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকেও হোম ডেলিভারি নেয়া যাবে। তবে ইলেকট্রিক যে কোন পণ্য ও তার ব্যবহারে সচেতন হওয়া অপরিহার্য।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ