• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

শীতকালে লিভার সুস্থ রাখবে এসব খাবার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২০  

ভোরের কুয়াশাই জানান দিচ্ছে শীত আসন্ন। এসময় ত্বকের শুষ্কতা এবং শরীরের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি ঠান্ডার কারণে আগে থেকেই শরীরে থাকা নানা সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই এসময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে বেশি পরিমাণে। 

লিভারের দিকে এই সময়টাতে বেশি নজর দিতে হবে। খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো নিয়মিত রাখুন। লিভার বা যকৃত আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। সুস্থ থাকতে এর যত্ন নিতেই হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রিতিদিন লিভারের বিভিন্ন ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় অনেক মানুষ। 

সমীক্ষা বলছে, বর্তমান সময়ে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজনের লিভারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হলো কিছু বদ অভ্যাস ও সঠিক খাবার না খাওয়া। তাই নিজেদের সুস্থ রাখতে এখন থেকেই আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। আর শরীর সুস্থ রাখার জন্য লিভারকে সুস্থ রাখাটা খুবই প্রয়োজন। 

জেনে নিন লিভার সুস্থ রাখতে পাতে কোন খাবারগুলো রাখবেন- 

রসুন 
লিভার থেকে এক ধরনের এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে রসুন, যা শরীর থেকে টক্সিনকে অনায়াসেই বের করে দেয়। এ ছাড়াও রসুনে থাকে উচ্চ মানের অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল জাতীয় উপাদান। যা লিভারকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার 
লিভারকে সুস্থ রাখতে ডায়েটে ফাইবার যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। ফাইবার যকৃতে জমা হওয়া চিনির স্তরকে হ্রাস করতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন, বার্লি, ওটমিল, বিভিন্ন শাকসবজি, পালংশাক, কড়াইশুঁটি, ব্রোকোলি, লেটুস, বিটরুট, গাজর ইত্যাদি খাবার শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বার করতে সহায়তা করতে পারে।

লেবু জাতীয় ফল 
কমলালেবু, পাতিলেবু বা মুসম্বি ফলের মধ্যে এনজাইম থাকে। যা লিভার থেকে টক্সিন বার করতে সাহায্য করে। এগুলোকে জুস হিসেবে বা ফ্রুট সালাদ বানিয়েও খেতে পারেন রোজ।  

আঙ্গুর ও আপেল 
আপেলের মধ্যে থাকে পেকটিন নামক একটি উপাদান, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং হজম ক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। আবার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আঙ্গুরের রস এবং আঙ্গুর বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তাই এটি প্রদাহ হ্রাস এবং লিভারের ক্ষতি রোধ করে লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি 
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি রোজ পান করলে অনেকগুলি স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অনায়াসেই। তবে গ্রিন টি লিভার থেকে ফ্যাট নির্মূল করতেও সহায়তা করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। যা লিভারে জমে থাকা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে এবং লিভারের কার্যকারিতাও উন্নত করে। 

আখরোট 
আখরোট ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ। যা লিভারকে টক্সসিন মুক্ত করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ 
যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। তবে এ ক্ষেত্রে গুঁড়া হলুদের থেকে কাঁচা হলুদ বেশি উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। হলুদে থাকা কারকুমিন টক্সিনগুলি বের করতে সহায়তা করে। এটি লিভারের কোষগুলোকে মেরামত করতে এবং স্বাস্থ্যকর লিভারের কোষগুলো পুনরায় জন্মাতে সাহায্য করে। তাই রোজ সকালে খালি পেতে এক টুকরো কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খান। 

জলপাই তেল
অত্যধিক চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া লিভারের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তবে কিছু চর্বি রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী। একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, জলপাইয়ের তেল অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করতে এবং লিভারের কার্যকারিতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে। তাই খাবারের তালিকায় এটি যুক্ত করা প্রয়োজন। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ