• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সংক্রমণ ঠেকাতে নিয়মিত যেসব খাবার খাবেন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২০  

ভীষণ গরম আবার হঠাৎই ঝড়-বৃষ্টি। আবহাওয়ার এমন আচরণের প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরে। গরম-ঠান্ডার এই ওঠা-নামায় শরীরে দেখা দিচ্ছে নানা অসুখ। সাধারণ ফ্লু তো আছেই, সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের ভয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো ও মাস্ক-সাবান-স্যানিটাইজার ব্যবহার করে অসুখের সঙ্গে লড়াই করাই এখনও পর্যন্ত একমাত্র উপায়।

শরীর শক্তিশালী না হলে, পুষ্টি না পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর তা প্রভাব ফেলে। সুতরাং খাবার তালিকায় রাখতে হবে এমন কিছু খাবার, যা শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি অসুখ-বিসুখও প্রতিরোধ করবে।

প্রতিদিন পাতে রাখুন তেতো খাবার। এগুলো ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। নিম পাতা, করলা, থানকুনি পাতা এসব খেতে পারেন। এসব খাবারের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীরকে মজবুত রাখে ও এই সময় বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।

শরীর সুস্থ রাখতে দরকার পড়ে প্রোটিনের। প্রতিদিন খাবার পাতে উদ্ভিজ্জ বা প্রাণীজ, যেকোনো রকমের প্রোটিন রাখুন। মাছ, মাংস, সয়াবিন, মুসুর ডাল, ডিম এসব থেকে পাওয়া পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করবে।

লবঙ্গ, দারুচিনি, কাঁচা হলুদ, কালোজিরা খান নিয়মিত। এগুলো আপনাকে ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার মতো প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করবে। রান্নায় যোগ করুন লবঙ্গ ও দারুচিনি। এদের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মহামারির বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।

কাঁচা হলুদেরও অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচায়। হয় টুকরো করে কেটে চিবিয়ে খান, নয়তো কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান প্রতিদিন। বিশেষ করে শ্লেষ্মাজনিত অসুখের বিরুদ্ধে বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে এই কাঁচা হলুদ।

প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরা রসুন। এর অনেক কার্যকরী দিক রয়েছে। অনেকটা সময় পেট খালি থাকার পর রসুন খেলে এর রস সহজে শরীরকে বেশি ডিটক্সিফাই করতে পারে। এটি রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। কিছু ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ যেমন- ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ইত্যাদি প্রতিরোধে রসুনের ভূমিকা অনেক। তাই এই সময় রান্নায়ও ব্যবহার করুন রসুন।

প্রতিদিন অন্তত ১০০ গ্রাম ওজনের যেকোনো ফল খান। সঙ্গে রাখুন পর্যাপ্ত সবুজ শাকসবজি। ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে, শরীরকে স্বাভাবিক শক্তির জোগান দিতে ও ভিটামিন সি-খনিজের উপাদান যাতে ঘাটতি না পড়ে সেজন্য এসব খেতে হবে।

টক দইয়ের প্রো বায়োটিক উপাদান লিভারকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই এরটি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। দুধের তুলনায় দই অনেক বেশি সহজপাচ্য। শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে এটি তুলনাহীন। এটি হজমশক্তিও বাড়ায়।

শরীরে পানির ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। সেইসঙ্গে ডিহাইড্রেশন থেকে আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। তখন ভাইরাস খুব সহজেই কাবু করতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পানি শরীরের টক্সিন বের করে শরীরকে সুস্থ রাখবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ