• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সঙ্কটেও ‘সেবার মান ভালো’ গোপালগঞ্জের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২০  

লোকবল সঙ্কটের মধ্যেও ‘ভাল সেবা’ দিচ্ছে টুঙ্গিপাড়া ১০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। প্রয়োজনের তুলনায় জনবল কম থাকায় মা ও শিশু রোগীর সেবায় কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরতদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও তারা আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। 

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরুন্নেসা জানান, এ কেন্দ্রে চিকিৎসক নার্সসহ মোট ১৫ জন জনবল থাকার কথা। কিন্তু কর্মরত রয়েছেন ১ জন করে মেডিকেল অফিসার, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সহকারী, নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট ও আয়াসহ মাত্র চারজন। শূন্য রয়েছে মোট ১১টি পদ। 

তিনি বলেন, “প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অপারেশন থিয়েটার চালু করা যায়নি; কোনো অ্যাম্বুলেন্সও নেই।  এত সঙ্কটেও প্রতি মাসে এ কেন্দ্র থেকে আমরা গর্ভবতী  ৫০০ মায়ের  চেকআপ, প্রসব পরবর্তী ৪০ জনকে পরিচর্যা,  প্রসব পরবর্তী ৬০০’ দম্পত্তিকে পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করছি।  এছাড়া ১০০  সক্ষম দম্পত্তিকে পরিবার পরিকল্পনা সেবা এবং এ কেন্দ্র থেকে প্রতিমাসে ২০০ নবজাতকে শিশুস্বাস্থ্য সেবা  ও ৭০০ কিশোরীকে কৈশরকালীন প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা করছি।”

এ কেন্দ্রে কথা হয় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার মরিয়ম বেগমের সঙ্গে । তিনি বলেন, “মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন। লোকবল নেই তারপরও তারা আন্তরিকতার সঙ্গে সাধ্যমত হাসিমুখে  সব সেবা দেন। আমরা তাদের সেবায় সন্তুষ্টু। এখানে সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এখানে স্বাভাবিক ডেলিভারির ব্যবস্থা বেশ ভাল। ”

সেবা ভালো থাকলেও অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় অনেক সময় গর্ভবতী নারীদের ঝুঁকিতে পড়তে হয় বলে জানালেন হাবিবুল্লাহ নামের এক রোগীর স্বজন।

তিনি বলেন, “স্বাভাবিক ডেলিভারিতে জটিলতা দেখা দিলে এখান থেকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে যেতে বলা হয়। বাইরে থেকে কখন অ্যাম্বুলেন্স আসবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এটি মা ও শিশুর জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এখানে সিজারিয়ান আপরেশন চালু ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হলে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।”

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামের সুমন শেখ বলেন, “এখানে সব সেবার মান খুবই ভালো। কিন্তু জনবল সঙ্কটে কেন্দ্রটিতে কর্মরতরা বিশাল জনগোষ্ঠিকে সেবা দিতে হিমশিম খান। এখানে চিকিৎসক সহ ১১ জনের পদ পূরণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জম্মভূমির মা ও শিশুরা আরো মান সম্মত সেবা পেয়ে উপকৃত হবেন।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেডিকেল অফিসার মেহেরুন্নেসা বলেন, স্বল্পজনবল দিয়ে বর্হিবিভাগ ও আর্ন্তবিভাগে ২৪ ঘণ্টা পরিছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সম্পূর্ন বিনামূল্যে স্বাভাবিক প্রসবসহ সবসেবা প্রদান করা হচ্ছে। এটি অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান অপারেশন রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। তবে খুব কমক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসবে জটিলতা দেখা দিলে তখন আমরা প্রসূতিকে গোপালগঞ্জ  জেনারেল হাসপাতালে রেফার করি।

এখানে সিজারিয়ান অপারেশন  এবং অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যবস্থা চালু বিষয়ে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান এ চিকিৎসা কর্মকর্তা।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ