• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সর্বোচ্চ সতর্কতা কারাগারে,ডিআইজি-জেল সুপারদের জন্য ২০ নির্দেশনা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২০  

বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলার অংশ হিসেবে দেশের সবকটি কারাগারে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কারা অধিদফতর।

৬৮টি কারাগারেই কারা অধিদফতর থেকে পাঠানো হয়েছে ২০টি বিশেষ নির্দেশনা। এর বাইরে প্রত্যেক বিভাগের ১টি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপন করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। পর্যায়ক্রমে সেগুলোকে আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তরের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে কারা অধিদফতর। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক কারাগারে স্থাপন করা হয়েছে জরুরি ফোন বুথ। শর্তসাপেক্ষে তাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বন্দী হাজিরা স্থগিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে কারা অধিদফতরের প্রস্তাবনা সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বিশেষ সাফল্য হিসেবে দেখছে কারা অধিদফতর ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারা অধিদফতর সূত্র বলছে, করোনা সন্দেহজনক রোগীদের ব্যবস্থাপনায় প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করেছে কারা প্রশাসন। এক্ষেত্রে ওইসব কারাগারগুলোর পুরাতন ভবন কিংবা কম গুরুত্বপূর্ণ ভবনকে বেছে নিয়ে সার্বিক সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে। তবে ঢাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য কিশোরগঞ্জ জেল-২ ভবনকে এবং খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের জন্য পিরোজপুর জেল-২ ভবনকে বেছে নিয়েছে কারা অধিদফতর। রংপুর বিভাগের জন্য দিনাজপুর জেল-২, চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য ফেনী জেল-২ ভবনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের জন্য কারা ফটকের বাইরে ডিআইজির বাসভবনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে করোনা প্রতিরোধে দেশের সবকটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং পুরাতন জেলা কারাগারে করোনা প্রতিরোধে জেল সুপারের নেতৃত্বে ৫ সদস্য এবং জেলা কারাগারে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, দেশের ৬৮টি কারাগারের মধ্যে মাদারীপুর কারাগার লকডাউন করা হয়েছে। বাগেরহাট কারাগারে নতুন বন্দী তিন চাইনিজ নাগরিককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। মাদারীপুরে অধিকসংখ্যক বিদেশফেরত প্রবাসীদের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা অধিদফতর। দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি কারাগারে নতুন বন্দীষ্টদের জন্য আলাদা সেল খোলা হয়েছে। এই সেলে রাখা হয়েছে ১৪টি কক্ষ। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বন্দীদের পর্যায়ক্রমে ১৪টি কক্ষে নেওয়া হচ্ছে। ‘নতুন আমদানি সেল’ নামে এই সেলে বন্দী আনার আগেই তাদের পরীক্ষা ও তল্লাশি করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন বলেন, বিশ্ব মহামারী ঘোষণার আগেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শুরতেই আমরা কারাগারে এ সংক্রান্তে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সবগুলো কারাগারে এ সংক্রান্তে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কিনা কারা অধিদফতর থেকে তা মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘোষণা করা হলেও সেগুলোকে আইসোলেশন সেন্টার করার মতো প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিও (আইসিআরসি) এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসছে। আগামী বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পিপিইসহ বিভিন্ন উপকরণ দিচ্ছে আইসিআরসি। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ