• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সুখ-দুঃখে যে দোয়া পড়বেন মুমিন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২০  

সুখ ও দুঃখ মানুষের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়ানো। সুখের পর দুঃখ আবার দুঃখের পরে মানুষ সুখের সময় অতিবাহিত করে। সর্বাবস্থায় মুমিন মুসলমান মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে থাকে। সুখ-দুঃখের এ সময়গুলোতে নিজেদের আবেগকে দমন করা মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই জরুরি।

কুরআন সুন্নায়  সর্বাবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে উপদেশ দেয়া হয়েছে। আবেগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘এটা এ জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছ তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন তার জন্য তোমরা আনন্দিত না হও। ‌গর্বকারী ও অহংকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।’ (সুরা হাদিদ : আয়াত ২৩)

বরং সুখ ও দুখের সময় নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হাদিসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা ও আশ্রয় চাওয়ার দোয়া শেখানো হয়েছে। তাহলো-

اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَالُكَ الْعَدْلَ فِىْ الْغَضَبِ وَ الرِّضَا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আদলা ফিল গাদাবি ওয়ার রিদা।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্রোধ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থায়ই মধ্যমপন্থা কামনা করি।

মুমিন মুসলমানের উচিত প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের উপর আমল করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে দু’টি শব্দ উচ্চারণ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলো-

- দুঃখের সময় বোকামিসুলভ (হায়! হায়!) শব্দ

- আর অন্যটি হলো (আনন্দের অতিমাত্রায়) পাপসুলভ (হুররে! বা হাহ্হা) শব্দ।

(আল্লাহর পক্ষ থেকে) নেয়ামত পেলে (পাপ হয় এমন শব্দে) ‘হুররা বা হাহ্হা’ করা। আর বিপদের সময় বোকিামিবশতঃ হায়!, আফসোস করা। অর্থাৎ বড় নিঃশ্বাস ফেলা।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা ও ধৈর্য ধারণ করার মাধ্যমে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার এবং গর্ব ও অহংকার থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। দুঃখ ও আনন্দের অতিশয্যে তাঁর অবাধ্যতা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ