• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

‘স্বতন্ত্র প্লাজমা ব্লাড ব্যাংক’ গড়ে তুলছে সিএমপি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০  

চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের বাঁচাতে এবার পুলিশ প্রশাসনই গড়ে তুলছে স্বতন্ত্র প্লাজমা ব্লাড ব্যাংক। করোনা থেকে বেঁচে আসা রোগীদের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহের পর সেগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে অন্যান্য রোগীর সেবায়।

গত কয়েকদিনে অন্তত ১০ জন করোনা রোগীকে দেয়া হয়েছে প্লাজমা সহযোগিতা। আর প্লাজমা দাতার তালিকায় রয়েছে বেশ ক'জন পুলিশ সদস্য। সেইসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে সুস্থ হয়ে আসা রোগীদের ডাটাবেইজ।

একক পেশা হিসেবে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ সদস্যরা। যার সংখ্যা অন্তত আড়াইশ। এর মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪১ জনের বেশি পুলিশ সদস্য। আর এখন সুস্থ হয়ে আসা সেই পুলিশ সদস্যরাই প্লাজমা দান করছেন মুমূর্ষু রোগীদের জন্য।

প্লাজমা সংগ্রহ এবং সরবরাহ ব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ(সিএমপি) গঠন করতে যাচ্ছে প্লাজমা ব্লাড ব্যাংক। সুস্থ হয়ে আসা রোগীদের যাবতীয় তথ্য নিয়ে ডাটাবেইজ তৈরি করছে তারা।

সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান বলেন, 'যারা নিজের ইচ্ছায় এই প্লাজমা ব্যাংকে প্লাজমা দান করতে ইচ্ছুক তারা ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তাদের দেওয়া রক্তরস আমরা পরবর্তীতে অসুস্থদের মধ্যে সরবরাহ করবো।'

মুমূর্ষু করোনা রোগীদের জীবন বাঁচাতে সুস্থ হয়ে আসা রোগীদের প্লাজমা থেরাপি এখন স্বীকৃতি চিকিৎসা ব্যবস্থায় রূপ নিতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামেও পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় সীমিত আকারে প্লাজমা সংগ্রহ এবং রোগীদের মধ্যে সরবরাহও শুরু হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, 'আমাদের কাছে এখন অসংখ্য ফোন আসছে। মানুষ এখন আমাদের কাছ এই সহযোগিতা চাইছে।'

প্লাজমা দাতা মিয়া মোহাম্মদ তারেক বলেন,'আমি এ পর্যন্ত দুজনকে প্লাজমা দিতে পেরেছি। প্লাজমা দেওয়া ব্যাপারটাকে সবাই পজেটিভভাবে দেখুন।'

পুলিশের পক্ষ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ এবং মুমূর্ষু রোগীদের মধ্যে সরবরাহকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন চিকিৎকরা। এ কথা জানালেন, প্লাজমা রক্ত সংগ্রহের সমন্বয়কারী ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান।

চট্টগ্রামে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যারা নগরীর তিনটি চিকিৎসা কেন্দ্রের পাশাপাশি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ