• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

স্বপ্নের বাড়ি পেল ৩৩ গৃহহীন পরিবার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

এতোদিন যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও ছিল না, তারা পেলেন স্বপ্নের বাড়ি। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির কুমিল্লাটিলা এলাকায় প্রায় দুই একর জায়গার উপর ৩৪ টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে ভূমিহীন, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য।

বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বাড়িগুলোর অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট। ছিমছাম গোছানো ঘরের সারি। অনেকটা জিরো আকৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছে ঘরগুলো। প্রত্যেকটি ঘরের সামনে রয়েছে বারান্দা, ছোট বাগান, হাঁটার জায়গা। ঠিক মাঝখানে বিশাল জায়গাজুড়ে রয়েছে ফুল বাগান ও পানি সংরক্ষণের স্থান। বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ি শহরের কুমিল্লাটিলা এলাকায় প্রায় দুই একর জায়গার উপর নির্মাণ করা হয়েছে এমন ৩৪টি পাকা বাড়ি। যার মধ্যে ৩৩ টি বাড়িতে ঠাঁই পেলো তেত্রিশটি গৃহহীন পরিবার। একটি ঘর ব্যবহৃত হবে অফিস হিসেবে।

সুবিধাভোগীরা বলেন, আমি কল্পনাও করি নাই সরকার আমাকে এমন বাসা দেবে। 

প্রায় ৫০১ বর্গফুটের প্রত্যেকটি পাকা ঘরে রয়েছে দু'টি শোবার ঘর, একটি রান্না ঘর, একটি শৌচাগার, একটি ডাইনিং ও একটি ব্যালকনি।

প্রত্যেকটি ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
নির্বাহী প্রকৌশলী দীলিপ কুমার বিশ্বাস বলেন, তাদের কিচেন বাগানের জন্য কিছু স্পেস দেয়া হয়েছে। 

প্রতিবন্ধী, গৃহহীন, ভূমিহীন, হতদরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায়, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহায়তায় এই প্রকল্পের আদলে শহরের শালবন এলাকায় আরো ৮৮টি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মেয়র মো. রফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের একটি নাগরিকও গৃহহীন থাকা যাবে না, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই খাগরাছড়ি পৌর প্রশাসন এক ধাপ এগিয়ে আসি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে খাগড়াছড়ি পৌরসভা। ২০১৭ সালের শেষের দিকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ