• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সড়ক নির্মাণের ১৫ দিনের মধ্যে উঠে যাচ্ছে পাথর

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইটের খোয়ার বদলে রাবিশ, বিটমিনের বদলে পোড়া মবিল ও কেরোসিন তেল দিয়ে রাতের অধারে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করা হয়েছে। তাই ১৫ দিনের মধ্যে ওই সড়কের কার্পেটিংয়ের পাথর উঠে যাচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ও পুনঃ সড়ক নির্মাণের দাবিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের উওর পাশে সুচনা সিনেমা হলের পশ্চিম পাশে ডেম্বুর বাড়ি সড়কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন। প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই সড়কটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় ইসলাম টের্ডাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেই কাজটি চুক্তির মাধ্যমে ক্রয় করেন সজীব নামে এক ঠিকাদার। গত ১৫ দিন আগে সড়কটি কার্পেটিং করা হয়। কার্পেটিং কাজ রাতে ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় ১৫ দিনের মধ্যে কার্পেটিংয়ের পাথর উঠে যেতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে গত শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করে ঠিকাদারের লোকজন গোটা সড়কে কেরোসিন তেল স্প্রে করে বালু ছিটিয়ে সড়ক সংস্কার করেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগকারী আসাদুজ্জামান সাজু বলেন, এ সড়ক নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী, ইউএনও, স্থানীয় প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার অনুরোধ করেছি সড়কটি পুনঃ সংস্কার করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু স্থানীয় প্রকৌশলী নজীর হোসেনের সহযোগিতায় ঠিকাদার সংস্কারের নামে নাটক শুরু করেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজীর হোসেন বলেন, ঠিকাদারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে সড়কটি সংস্কার করে দিয়েছেন। এদিকে ঠিকাদার সজীব বলেন, সড়কটি নিয়ম অনুসারে নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।

এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা(ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, ওই সড়ক নির্মাণে অনিয়মের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লালমনিরহাট জেলা এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বলেন, অভিযোগের পেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে কাজটি দেখা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ