• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

হলি আর্টিজানের রায় নিয়ে যা বলছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯  

বহুল আলোচিত হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা মামলায় প্রত্যাশিত রায় পাওয়া যাবে বলে আশা করছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় গ্রেফতার জঙ্গি মামলাগুলোর বিচারও যথাসময়ে শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী সংস্থাটি। এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, হলি আটিজান মামলার রায় নিঃসন্দেহে একটি অগ্রগতি। তবে দীর্ঘ উগ্রবাদ নির্মূলে শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতার ওপর জোর দেয়ার পরমর্শ তাদের। আগামীকাল হলি আর্টিজান মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এ কথা বলেন তারা।

২০১৬ সালের ১ জুলাই। রমজানের শেষের দিকে নগরবাসী প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঈদুল ফিতরের। ঠিক সেই এক ভয়াল সন্ধ্যায় গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোঁরায় ঘটে যায় দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। নিহত হন দুই পুলিশ সদস্যসহ দেশি বিদেশি ২৮ নাগরিক। মূলত এই ঘটনার মধ্য দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব ও সক্ষমতার জানান দেয় নব্য জেএমবি।

পরের কয়েক ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস কমান্ডো অভিযানে মারা যায় পাঁচ হামলাকারী। জীবিত উদ্ধার হয় বেশ কয়েকজন জিম্মি। ঘটনার পর মামলার তদন্তভার দেয়া হয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে। প্রায় তিন বছর তদন্ত শেষে ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার তথ্য জানায় সংস্থাটি। তবে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরী, মারজানসহ ১‌৩ জন বিভিন্ন সময় অভিযানে মারা গেলে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়া হয়। নানা ধাপ পেরিয়ে বুধবার ঘোষিত হতে যাচ্ছে এই মামলার রায়।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে যাদের যে ভূমিকা ছিল, সেগুলো আমরা চার্জশিটে উল্লেখ করেছি। আমরা সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করেছি। আশা করছি, একটা ভাল রায় পাব।

হলি আর্টিজান হামলার পর দেশজুড়ে জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। পরের দুই বছরে ১৮টি অভিযানে মারা যায় ৭৯ জঙ্গি। গ্রেফতারও হয় অনেকে। এসব অভিযানে আপাত সাফল্য পাওয়া গেছে। জঙ্গিরাও কিছুটা কোণঠাসা।

তবে সোমবার পুরোনো তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতারের পর কাউন্টার টেরোরিজম বলছে, তারাও ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।


এই প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদ নিয়ে ভাবেন, এমন ব্যক্তিরা বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে এটি নির্মূল করতে গেলে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা।

অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, জঙ্গি দমনে পুরোপুরি আরো সফল হতে গেলে সেই চেষ্টা শুধু রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই নয়, আমাদেরও সচেতন হতে হবে।

হলি আর্টিজান হামলার বিচারের মধ্য দিয়ে উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণে এক ধাপ অগ্রগতি হলো বলে মনে করছেন সবাই।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ