• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

৪০০ কোটি মাইল দূর থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন?

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২০  

১৯৯০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নাসা থেকে উক্ষেপিত ভয়েজার-১ মহাকাশযান সৌরজগতের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তঃনাক্ষত্রিক শূন্যতায় প্রবেশ করবে। এমন সময় জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সাগান নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘ভয়েজারকে একবারের জন্য পৃথিবীর দিকে ফিরে তাকাতে নির্দেশ করুন। 

ভয়েজার টিমে কার্ল সাগানের সঙ্গে আরো একজন ইমেজিং বিজ্ঞানী ছিলেন। তার নাম কারোলিন পর্কো। সাগান যখন সেখান থেকে ছবিটি তোলার জন্য অনুরোধ করেন, তখন তার সঙ্গে সায় দেন অন্যরাও। তারা মনে করলেন, মহাবিশ্বের এই বিশাল জগৎ থেকে আমাদের বাসযোগ্য পৃথিবীকে কেমন দেখায়, তা জানা ও দেখার দরকার আছে। আসলে তারা বিশ্ববাসীকে জানাতে চেয়েছিলেন যে, মহাবিশ্বের তুলনায় পৃথিবী নামক গ্রহটি খুবই ক্ষুদ্র।

মাত্র একবার পেছন ফিরে তাকায় ভয়েজার। ৪০০ কোটি মাইল দূর থেকে পৃথিবীর একটি ছবি তোলে ভয়েজার। এরপরই সৃষ্টি হয় ইতিহাস। ঐতিহাসিক এই দিনটির ৩০ বছর পূর্তিতে নাসা তাদের ওয়েবসাইটে ছবিটি প্রকাশ করে। 

ছবিটিতে দেখা যায়, বিশাল গাঢ় অন্ধকারের মাঝে কয়েকটা আলোক-রেখা। তার একটি আলোক রেখার মাঝে মলিন একটা বিন্দু। সাগানের ভাষায়, ‘পেইল ব্লু ডট’। অর্থাৎ ‘বিবর্ণ নীল বিন্দু। এখান থেকে ৪০০ মাইল দূর থেকে আমাদের এই গ্রহকে বলতে হবে ‘বিবর্ণ নীল বিন্দুর’ এক গ্রহ।

পরে কার্ল সাগান ‘পেইল ব্লু ডট প্লানেট : আ ভিশন অব দ্য হিউম্যান ফিউচার ইন স্পেস’ নামে ১৯৯৪ সালে একটি বই লেখেন। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বইটিতে ৪০০ কোটি কিলোমিটার দূর থেকে তোলা বিন্দুর ছবিটা সম্পর্কে নানা রকম ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশাল দূরত্বে পৃথিবীকে নিছক একটা বিন্দুর চেয়ে বেশি কিছু মনে হয় না।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ