বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৪
![](https://www.dainikgopalganj.com/media/imgAll/2024March/005-2403310649.jpg)
সরকারি চাকরিজীবীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীর জন্য পেনশন চালুর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এটি চালু হলে অবসরের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এককালীন টাকার পাশাপাশি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন। বর্তমানে দেশে ৩০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত। তারা প্রতি মাসে সরকার থেকে মূল বেতন ও নির্দিষ্ট অঙ্কের বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা পান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে, পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত হলে ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী পেনশন বোর্ড’ গঠন করা হবে। বর্তমানে চালু থাকা ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড’ ও ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট’ বিলুপ্ত হবে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের আর্থিক বিষয়ে আলোচনা করতে একটি সভা হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ছাড়াও শিক্ষা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন। এ সভায়ই বেসরকারি শিক্ষকদের পেনশন চালুর প্রস্তাব করা হয়। সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, সরকারের সর্বজনীন পেনশনের মতোই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরও পেনশন চালুর বিষয়ে সভায় প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকরা চাকরিজীবন শেষে অবসরের পুরো টাকা একসঙ্গে পাবেন না। অবসরের অর্ধেক টাকা এককালীন পরিশোধ করা হবে। বাকি অর্ধেক টাকা তাদের পেনশন আকারে দেওয়া হবে। পেনশনের টাকা শিক্ষকরা আজীবন পাবেন। কোনো শিক্ষক মারা গেলে তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে (নমিনি) পেনশনের টাকা দেওয়া হবে।
সভায় অংশ নেওয়া বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু বলেন, পেনশন চালু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, সভাটি অনানুষ্ঠানিক ছিল। তবে এটা চালু করা নিয়ে শিক্ষক সংগঠনগুলো বহু আগে থেকেই আলোচনা ও প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
সভায় অংশ নেওয়া বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ মোহাম্মদ সাদী বলেন, সর্বজনীন পেনশন যেহেতু চালু হয়েছে, সেই একই পদ্ধতিতে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদেরও পেনশন চালু করা যায়। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে অবসর বোর্ডের আইন পরিবর্তন করতে হবে। সে জন্য সভায় উচ্চ পর্যায়ের একটি কারিগরি কমিটি গঠনের প্রস্তাব উঠেছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা পাচ্ছেন। ২০০৫ সালে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া। এ দুই সুবিধা বাবদ তারা এককালীন অর্থ পেয়ে থাকেন। এ জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের এমপিও অংশ থেকে চাঁদা হিসাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়।
তবে অর্থ সংকটের কারণে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট বর্তমানে ধুঁকছে। যে কারণে অবসরের পর টাকা পেতে দুই থেকে তিন বছর লেগে যাচ্ছে।
সংকটের আবর্তে অবসর বোর্ড
রাজধানীর পলাশীর ব্যানবেইস ভবনে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যালয়ে গিয়ে জানা গেছে, তিন বছর আগের অবসর সুবিধার আবেদন বর্তমানে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা এখন দেওয়া হচ্ছে। অবসর বোর্ডে জমে আছে ৩৫ হাজার ৭২০টি আবেদন। জানা গেছে, সরকার থেকে এ বোর্ডকে সিড মানি হিসেবে কয়েক দফায় মোট ৮২৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এ টাকার সুদ বাবদ মাসে সাড়ে ৩ কোটি টাকা বোর্ডের আয় হয়। আর প্রতি মাসে ৫ লাখ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন থেকে দেওয়া ৬ শতাংশ চাঁদা বাবদ আয় হয় ৭৩ কোটি টাকা। সুদ ও চাঁদার টাকা মিলিয়ে সাড়ে ৭৬ কোটি টাকা আয় হয়। অবসর বোর্ডে প্রতিদিন গড়ে ৩০টি আবেদন জমা পড়ে। মাসে ৯০০ থেকে ১ হাজার আবেদন আসে। বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী জানান, একটি আবেদন নিষ্পত্তি করতে গড়ে ১২ লাখ টাকা লাগে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে ৯০০ আবেদন নিষ্পত্তি করতে বোর্ডের টাকা দরকার ১০৮ কোটি। ৩২ কোটি টাকা প্রতি মাসে ঘাটতি থাকে।
ঘুরতে হয় কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতেও
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে দিনের পর দিন অবসরের পর ঘুরতে হচ্ছে শিক্ষক-কর্মচারীদের। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন বর্তমানে নিষ্পত্তি করছে এই ট্রাস্ট। এই মুহূর্তে ২৬ হাজার ২২০টি আবেদন জমা আছে। ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু জানান, প্রতি মাসে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের দেওয়া ৪ শতাংশ চাঁদা ও ডিপোজিট থেকে তাদের আয় ৫২ কোটি টাকার মতো। প্রতি মাসে প্রায় ৮০০ আবেদন জমা পড়ে। যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে, তা নিষ্পত্তি করতে গেলে লাগে ৬২ কোটি টাকার বেশি। ঘাটতি থাকে ১০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে প্রতিবছর জুলাইয়ে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়ায় ঘাটতি আরও বেড়ে যাচ্ছে।
৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে ছয় মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা (রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, শিক্ষকদের অবসর সুবিধা পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারেন না।
আইনজীবীরা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড প্রবিধানমালা, ২০০৫ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধান ছিল। এর বিপরীতে ট্রাস্টের তহবিল থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। তবে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধানগুলো সংশোধন করে ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ করে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোনো বাড়তি আর্থিক সুবিধার বিধান করা হয়নি।
২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের বেতন থেকে ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। কোনো আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করেই মূল বেতনের ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা কাটার আদেশ বাতিল করার জন্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ দাবিতে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ কর্মসূচি পালন করেন। এক পর্যায়ে তারা প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে আদালত ছয় মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
![দৈনিক গোপালগঞ্জ দৈনিক গোপালগঞ্জ](https://www.dainikgopalganj.com/media/PhotoGallery/2018November/Add-2001151341-2002090630.jpg)
- আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ
- মোবাইল ডেটা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত রোববার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
- ঐক্যের ডাকে প্রমাণ হয়েছে জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য:কাদের
- ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি চলার পরামর্শ
- আজ ১২ ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হবে
- দেশের উন্নয়ন করাই কি অপরাধ, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
- মেট্রোরেল কবে চালু হবে বলা যাচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী
- সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ মারা গেছেন
- স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত বাতিল
- কারফিউ উঠবে কিনা, সিদ্ধান্ত শুক্রবার
- আজও ৭ ঘণ্টা শিথিল কারফিউ
- ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোস্টেশন পরিদর্শন,আবেগাপ্লুত শেখ হাসিনা
- ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হক আর নেই
- ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হক আর নেই
- নাশকতা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২২৮
- স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
- পিছিয়ে পড়েও ভুটানকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ
- সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই
- বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন ঘেরাও-অগ্নিসংযোগ
- মজাদার আমের পুডিং
- ডায়াবেটিস রোগীদের কতটুকু কাঁঠাল খাওয়া উচিত?
- মসজিদের আদব ও শিষ্টাচার
- প্রিয় স্বামী, তোমাকে তালাক দিলাম’, দুবাই রাজকন্যার পোস্ট
- প্যারিসে গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৬
- বশেমুরবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
- গাজায় যুদ্ধের সব নিয়ম ভেঙেছে ইসরায়েল, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
- মসজিদে যেসব কাজ নিষিদ্ধ
- চট্টগ্রামে আরেকটি টানেল নির্মাণে চীনের প্রতি আহ্বান
- কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষ-প্রাণহানি: তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি
- যারা সহিংসতাকে উস্কে দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ: কাদের
- বিয়েতে হাজির না হওয়ায় প্রেমিকের গোপনাঙ্গ কেটে নিলেন প্রেমিকা
- বন্ধুত্বের পরিসর
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন, স্পেন ও ব্রাজিল সফর - গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরন
- স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছে আবেদ আলীসহ ৭ আসামি
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা
- বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বাংলাদেশের মুক্তি ও সাফল্য-মুখ্য সচিব
- এবার থানায় ঢুকল রাসেলস ভাইপার
- রুনা খান যা করলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম
- মুকসুদপুরে বিনামূল্যে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ
- মুকসুদপুর প্রেসক্লাব ফ্যামেলি ডে অনুষ্ঠিত
- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজের আহ্বান
- মুকসুদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের
- গোপালগঞ্জে বেড়েছে দুধ-ডিম ও মাংসের উৎপাদন
- গোপালগঞ্জে এক রাতে ফুটলো তিনটি রাতের রাণী ‘নাইট কুইন’
- গোপালগঞ্জে মাথায় ডিম ভেঙে শিক্ষককে লাঞ্ছিত
- ফকিরহাটে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১২
- গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হলেন তাহিরপুরের ইউএনও
- কাশিয়ানীর গ্রাম থেকে নকল পন্যের কারখানা সন্ধান
- মাঠে নেই আন্দোলনকারীরা, সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রস্তুত পুলিশ
![দৈনিক গোপালগঞ্জ দৈনিক গোপালগঞ্জ](https://www.dainikgopalganj.com/media/PhotoGallery/2018November/Screenshot_3-1911071128.png)