বঙ্গবন্ধুর কন্যা ছাড়া আমার তো জীবনীর আর কি আছে
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
![](https://www.dainikgopalganj.com/media/imgAll/2021July/jhi-2109141109.jpg)
একটি ফল, খাদ্যপ্রাণসমৃদ্ধ মৌমাত-করা ঘ্রাণযুক্ত ফল। আরবি শব্দ ‘রেহানা’র অর্থ এরকমই। শেখ রেহানা, তাঁর একটি পরিচয়ই যথেষ্ট ছিল, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে। হয়তো এই পরিচয়েই নিভৃতে নিস্তরঙ্গভাবে আনন্দে-সুখে সারাটা জীবন পার করতেন, যদি পঁচাত্তরের নির্মম-নৃশংস ঘটনা না ঘটত। সেই ১৫ আগস্ট চিরদিনের জন্যে উলটেপালটে দিয়েছিল তাঁর ও তাঁর আপা শেখ হাসিনার জীবন। সে এক মহাবৈরী সময়।
পিতার হত্যার পর রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনেই বসবাস শুরু করেন শেখ রেহানা। অতীব কষ্টে কালাতিপাত করেছেন, যদিও তাঁর সম্পর্কে রটনা কম নয়। সাদাসিধে ছোট একটি আড়ম্বরহীন ফ্লাটে বসবাস করেন; বাসে, টিউবে-রেলেই চলাফেরা করেন, পার্টটাইম চাকরি করেন। তিন সন্তান-রেদওয়ান সিদ্দক ববি, টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী। টিউলিপ সিদ্দিক কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন লন্ডনের ক্যামডেন কাউন্সিলের লেবার পার্টির পক্ষ থেকে। বর্তমানে তিনি পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটির সদস্য।
১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া বঙ্গবন্ধুর এই নিভৃতচারী কনিষ্ঠা কন্যার জীবন সংগ্রামের টুকরো টুকরো ঘটনা উঠে এসেছে এই আলাপচারিতায়।
তোমার মেয়ে টিউলিপ ব্রিটিশ রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছে- তুমি কি চেয়েছিলে যে তোমার মেয়ে পলিটিকসে আসুক? তুমি কি চেয়েছিল যে, বন্ধবন্ধুর নাতনি হিসেবে, বাংলাদেশে না হোক, যেদেশেই থাকুক না কেন- রাজনীতিতে যুক্ত হোক?
শেখ রেহানা : আমার ছেলেমেয়ে পলিটিকসে যাক-তা আমি কখনই চাইনি। এত ভালো স্টুডেন্ট, পড়াশোনায় এত ভালো- নাটক করে, পিয়ানো বাজায়, আমি সব সময় ভাবতাম- ও উন্নতি করবেই। কিন্তু পলিটিকসে কোনোদিন জড়াবে নিজেকে – এটা ভাবিনি।
তুমি স্থায়ীভাবে ব্রিটেনে বসবাস শুরু করলে- এটা কি বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য, নাকি পড়ালেখার জন্য?
শেখ রেহানা : কিছুটা পারিবারিক, কিছুটা বাচ্চাদের লেখাপড়ার জন্য। ওরা ওই দেশের (ব্রিটেনের) নাগরিক। ওখানে পড়াশোনার এত সুযোগ-সুবিধা! মানুষ জমি- বাড়িঘর বিক্রি করে ছেলেমেয়েকে বিদেশে পড়াশোনা করতে পাঠায়। আমি ভাবলাম, এই সুযোগ থেকে ওদের বঞ্চিত করব কেন? আমি নিজে থেকেও টাকা-পয়সার কারণে পড়াশোনার সুযোগ পাইনি- ওটাও একটা কারণ। আর, নিরাপত্তা তো ছিলই। কারণ এখানে ( বাংলাদেশে) নানারকমের হুমকি-টুমকি পেতাম। সেজন্য ভাবলাম ওদের ওখানেই পড়াই।
আজকাল যাদের সামর্থ আছে তারা বাচ্চাদের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ায়।তাদের বাচ্চারা বাংলাটা ভিন্নরকম অ্যাকসেন্টে বলে। তোমার বাচ্চাদের সাথে কথা বললে মনে হয়,্এই সমস্যাটা তাদের নেই।
শেখ রেহানা: ওদের সাথে আমার প্রথম কথাই ছিল- তোমরা বাড়িতে বাংলা বলবে। বাংলা পড়তে হবে। কারণ তোমরা বঙ্গবন্ধুর নাতি। আমার সঙ্গে গ্রামগঞ্জে যেতে হবে। সেখানে আত্মীয়-স্বজন সবাই ইংরেজি পারে না – একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যাবে। তো, তারা অন্য বন্ধুদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলত, কিন্তু বাড়িতে বলত বাংলা। কোনো একসেন্ট দিয়ে ওরা বাংলা বলে না। স্পষ্ট বাংলা বলে। বাসায় ওদের আমি প্রচুর বাংলা বই পড়াতাম। প্রথম ভাষাটাই ওরা বাংলা শিখে।
যখন তুমি ওদের বাংলা বই পড়াতে সেখানে নিশ্চয়ই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল আর আমাদের মুক্তি সংগ্রামের বইও থাকত?
শেখ রেহানা: হ্যা, নজরুল-রবীন্দ্রনাথ আর নেতাজী সুভাষের বই বেশি পড়াতাম। কবিতা পড়াতাম। জীবনানন্দ দাশ ও সুকান্তের কবিতা পড়াতাম। বেগম রোকেয়ার বই আমি পড়ে পড়ে শোনাতাম। টিউলিপের মাস্টার্সের যে ডিসার্টেশন- সেটা রবীন্দ্রনাথের উপরে লেখা। যদিও সেটা ইংরেজিতে। রবীন্দ্রনাথের ‘নষ্টনীড়’ পড়ে আমার মেয়ে পাগল হয়েগিয়েছিল। আমি বাংলায় পড়তাম। ও সেটা ইংরেজি করত। এবং টিউলিপের যখন বিয়ে হয়- রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আমি ‘আলো আমার আলো’ কবিতাটি পড়াই।
আমরা যতদূর জানি, বঙ্গবন্ধু কবিতা আবৃত্তি করতেন। সাহিত্য, সংস্কৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর গভীর আগ্রহ ছিল। সাহিত্যের প্রতি এই ভালবাসা তুমি কি বাবার কাছ থেকে পেয়েছ? নাকি মায়ের কাছ থেকে? কিংবা দুজনেরই প্রভাব রয়েছে?
শেখ রেহানা : মা প্রচুর বই পড়তেন। আর আব্বার কাছ থেকে তো অবশ্যই। আমি তো এ্যাডভান্স বাংলার ছাত্রী ছিলাম কলেজে।
বেবী মওদুদ যখন বেঁচে ছিলেন তোমার একটা-দুইটা লেখা আমরা দেখতে পেতাম। তোমার নিশ্চয়ই লিখতে ইচ্ছে করে, এত কম লেখা দেখতে পাই কেন?
শেখ রেহানা : হ্যা, আমি লিখি কিন্তু ছাপানোর ইচ্ছেটা কম।
তোমার আত্মজীবনী লিখতে ইচ্ছে করে না?
শেখ রেহানা : বঙ্গবন্ধুর কন্যা ছাড়া আমার তো জীবনীর আর কি আছে?
কিন্তু তোমার দেখা পরিবারের যে ঘটনাগুলো- সেটাতো আমাদের ইতিহাস। এর একটা বিরাট মূল্য আছে। সেই দিক থেকে তোমার আত্মজীবনীও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ রেহানা : ‘অনেক ঘটনা আমি অল্প – অল্প করে লিখে রাখি। আর বেবী (মওদুদ) আপা জোর করে বসে থেকে লিখিয়ে নিত। বলত, আমি উঠব না। আর, অনেক সময় ঘটনা যখন দেখি মানুষ পেপারে মিথ্যা কথা লেখে, তখন আপাকে (শেখ হাসিনা) বলি- ‘আপা, এটাতো ডাহা মিথ্যা কথা।’ উনি বলেন, ‘ তুমি লিখো না কেন?’ আমি তখন লিখে রাখি- ঘটনা এটা না, ওটা। আমি তখন ছোট হলেও অনেক ঘটনার স্বাক্ষী। আর বঙ্গবন্ধুর কোনো গুণ না পেলেও স্মরণশক্তিটা এই বয়সে এসেও আল্লাহর রহমে খুব ভাল আছে। একবার যেটা দেখি বা শুনি সেটা আর ভুলি না। কিন্তু অনেক জিনিস চোখের দেখা- এখন মনে পড়ে- ঐ যে সাতই মার্চের ভাষণ- আমি, আপা, দুলাভাই, আমরা তো সামনে দাঁড়ানো ছিলাম। আব্বাতো কখনো ‘জয় পাকিস্তান’ বলে নাই। আব্বা নেমে যাওয়ার পরে আমরা বের হয়ে শহীদ মিনারের কাছে চলে আসলাম। স্পষ্ট মনে আছে। মানুষ যখন এই কথাগুলো বলে, সবাই না, কিছু লোক, তখন মনে হয় এই লোক এমন মিথ্যা কেন বলে? আব্বা বেঁচে নেই। যেই লোকটা বেঁচে নেই তার সম্পর্কে কেন মিথ্যা কথা বলছে? আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময়- ছোট হলেও দেখতাম, কিভাবে কি ঘটনা ঘটছে, জানতাম দাঁড়ি। অনেক সময় মা আলোচনা করতেন। তারপর ৬ দফার সময় খুব ছোট ছিলাম। বাড়িতে তো একটা রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল। তারপর তাজউদ্দিন চাচাকে নিয়ে কত ধরনের কথা, সত্য- মিথ্যা মিশিয়ে। আব্বা ও তাজউদ্দিন চাচার মধ্যে যে একটা সম্পর্ক ছিল যেই যাই লিখুক, তাদের সম্পর্ক আপন ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। আব্বা জেলে কেন- এই প্রশ্নটা মনে আসত। দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করে, মানুষকে ভালবেসে- মায়ের মুখে দাদির মুখে শুনতাম। শুনতাম, কিন্তু মুখ বন্ধ রাখতে হবে। কারণ বাড়ির সামনে সবসময় আইবি’র লোক।’
![দৈনিক গোপালগঞ্জ দৈনিক গোপালগঞ্জ](https://www.dainikgopalganj.com/media/PhotoGallery/2018November/Add-2001151341-2002090630.jpg)
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ
- মোবাইল ডেটা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত রোববার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
- ঐক্যের ডাকে প্রমাণ হয়েছে জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য:কাদের
- ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি চলার পরামর্শ
- আজ ১২ ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হবে
- দেশের উন্নয়ন করাই কি অপরাধ, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
- মেট্রোরেল কবে চালু হবে বলা যাচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী
- সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ মারা গেছেন
- স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত বাতিল
- কারফিউ উঠবে কিনা, সিদ্ধান্ত শুক্রবার
- আজও ৭ ঘণ্টা শিথিল কারফিউ
- ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোস্টেশন পরিদর্শন,আবেগাপ্লুত শেখ হাসিনা
- ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হক আর নেই
- ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হক আর নেই
- নাশকতা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২২৮
- স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
- পিছিয়ে পড়েও ভুটানকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ
- সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই
- বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন ঘেরাও-অগ্নিসংযোগ
- মজাদার আমের পুডিং
- ডায়াবেটিস রোগীদের কতটুকু কাঁঠাল খাওয়া উচিত?
- মসজিদের আদব ও শিষ্টাচার
- প্রিয় স্বামী, তোমাকে তালাক দিলাম’, দুবাই রাজকন্যার পোস্ট
- প্যারিসে গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৬
- বশেমুরবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
- গাজায় যুদ্ধের সব নিয়ম ভেঙেছে ইসরায়েল, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
- মসজিদে যেসব কাজ নিষিদ্ধ
- চট্টগ্রামে আরেকটি টানেল নির্মাণে চীনের প্রতি আহ্বান
- কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষ-প্রাণহানি: তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি
- কোটা সংস্কারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার একমত: আইনমন্ত্রী
- যারা সহিংসতাকে উস্কে দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ: কাদের
- বিয়েতে হাজির না হওয়ায় প্রেমিকের গোপনাঙ্গ কেটে নিলেন প্রেমিকা
- বন্ধুত্বের পরিসর
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন, স্পেন ও ব্রাজিল সফর - গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরন
- স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছে আবেদ আলীসহ ৭ আসামি
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা
- বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বাংলাদেশের মুক্তি ও সাফল্য-মুখ্য সচিব
- এবার থানায় ঢুকল রাসেলস ভাইপার
- রুনা খান যা করলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম
- মুকসুদপুরে বিনামূল্যে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ
- মুকসুদপুর প্রেসক্লাব ফ্যামেলি ডে অনুষ্ঠিত
- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজের আহ্বান
- মুকসুদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের
- গোপালগঞ্জে বেড়েছে দুধ-ডিম ও মাংসের উৎপাদন
- গোপালগঞ্জে এক রাতে ফুটলো তিনটি রাতের রাণী ‘নাইট কুইন’
- গোপালগঞ্জে মাথায় ডিম ভেঙে শিক্ষককে লাঞ্ছিত
- ফকিরহাটে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১২
- গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হলেন তাহিরপুরের ইউএনও
- কাশিয়ানীর গ্রাম থেকে নকল পন্যের কারখানা সন্ধান
- মাঠে নেই আন্দোলনকারীরা, সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রস্তুত পুলিশ
![দৈনিক গোপালগঞ্জ দৈনিক গোপালগঞ্জ](https://www.dainikgopalganj.com/media/PhotoGallery/2018November/Screenshot_3-1911071128.png)