• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

পিরোজপুরে বাসের চাপায় নিহতের সংখ্যা ৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৩  

পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে বাসচাপায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ খুলনায় আসার পথে সাব্বির ও  চিকিৎসাধীন শাহীন মোল্লার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান।

নিহতরা হলেন- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চোমরা গ্রামের আবুল হোসেন মিনার ছেলে মো. ইয়াসিন মিনা (১৪), কচুয়া উপজেলার আল আমিন মল্লিকের ছেলে মো. শাহিন মল্লিক (১৮) ও কচুয়া উপজেলার মো. বাদশা (১৮),  মোরেলগঞ্জ উপজেলার চুমরা এলাকার মো: হালিমের ছেলে সাব্বির (১৭) ও  কুচয়া উপজেলার রাড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কাদের মোল্লার ছেলে মো. শাহিন মোল্লা (১৯)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ২২ জন ক্যাটারিং কর্মী নসিমনে করে বাগেরহাট থেকে বরগুনার পাথরঘটা উপজেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী গ্রামীণ পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা নসিমনটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই বাদশা ও শাহীন মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর ইয়াসিন মারা যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সিরাজুল ইসলাম শিমলু জানান, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে বিয়ে বাড়িতে ক্যাটারিং সার্ভিস (খাবার পরিবেশন) দেওয়ার জন্য তারা নসিমন গাড়িতে করে ১৮ জন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। তাদের বহন করা নসিমনটি পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা এলাকায় এলে ডান পাশের চাকাটি ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক দিয়ে আসা একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় বাসচাপায় ঘটনাস্থলেই দুইজন ও  হাসপাতালে নিয়ে আসলে আরেকজন মারা যান। এছাড়াও গুরুতর আহত কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, চরজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। একজন সুস্থ রয়েছেন, দুজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজন এখানে নিয়ে আসার পর মারা গেছেন।

পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. সোহেল বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে খুলনা পাঠিয়েছি। দুজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং একজন হাসপাতালে আনার পর মারা গেছেন।

পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে তিনজন মারা গেছেন। ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানীয়রা নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে মোরেলগঞ্জ উপজেলার চুমরা এলাকার জনৈক মো: হালিমের ছেলে মো. সাব্বির খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার আগে মারা যান। গুরুতর আহত যুবক কুচয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকার রাড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কাদের মোল্লার ছেলে শাহীন মোল্লা খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহত আলীফ, অনীক ও বেলাল বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পিরোজপুর ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় একজন উদ্ধার কর্মী খুলনা গেজেটকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার ভেকুটিয়া ব্রীজ সংলগ্ন চরখালী ও পারেরহাটের মাঝামাঝি স্থানে দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের বহনকারী নসিমনের এক্সেল ভেঙ্গে যায়। এ সময়ে বিপরীত দিকে থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস গ্রামীন পরিবহন তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে তিনজনের মৃত্যু হয়। বাকীরা আহত হয়। এদের মধ্যে উল্লিখিতরা ৫ জন গুরুতর আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য খুলনায় নিয়ে আসার পথে সাব্বির ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিনের মৃত্যু হয়।

এদিকে পিরোজপুরের ধুপপাসা এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি পিরোজপুর পৌরসভার কেষ্ট নগর এলাকার মোয়াজ্জেল হাজীর ছেলে মনিরুল জামান (৫৫)। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. সোহেল।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ