• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সেই তানিয়ার পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২২  

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কলিয়া গ্রামের বাসিন্দা তানিয়া। জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারেন না তানিয়া। কিন্তু স্বপ্ন দেখে আকাশ ছোঁয়ার। তাই তো মায়ের কোলে চড়ে স্কুল পেরিয়ে এখন ডিগ্রি কলেজে পড়ছেন তিনি। পড়ালেখা শেষ করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তার অস্বচ্ছল পরিবারের হাল ধরতে চায় তানিয়া। 

শারীরিক প্রতিবন্ধী তানিয়াকে নিয়ে গত ২৬ জুলাই মায়ের কোলে চড়ে স্কুল থেকে ডিগ্রি কলেজে তানিয়া শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম তানিয়াকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।
 
বিষয়টি নজরে আসে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকার। গত অক্টোবর মাসে তিনি তানিয়াকে নগদ অর্থসহ গাভির একটি বকনা বাছুর দিয়েছেন পালনের জন্য এবং নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। এছাড়াও তানিয়ার পড়ালেখার খরচ বহনেরও আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।

বিষয়টি ৫ নভেম্বর নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা।
 
তিনি বলেন, তানিয়া খুবই সাহসী মেয়ে। সাহসী না হলে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও ডিগ্রিতে পড়ালেখা করছে। তাও মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে থেকে কলেজে যায়। আমি তানিয়ার জন্য যা করেছি এটাই কিছুই না। আমি যদি তানিয়াকে একটা চাকরি দিতে পারতাম তানিয়ার ইচ্ছে পূরণ করতে পারতাম তাহলে নিজের কাছে আরও ভালো লাগতো। আমি একজন পুলিশ সুপার হিসেবে নয় একজন মানুষ হিসেবে তানিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছি। 

শারীরিক প্রতিবন্ধী তানিয়া বলেন, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা স্যার আমাকে বাঁচার আশা জাগিয়েছেন। একজন পুলিশ সুপার এতো ভালো হতে পারে প্রথম দেখলাম। আমি স্যারের জন্য দোয়া করি। আল্লাহ তায়ালা তাকে সুস্থ রাখুক। শান্তিতে রাখুক। 

তানিয়ার মা হেনা বেগম বলেন, পুলিশ সুপার স্যারকে আমি মন থেকে দোয়া করলাম। আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ রাখে। তিনি আমার মেয়ের দিকে তাকিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমার মেয়েকে নগদ অর্থসহ গাভির বাছুর দিয়েছেন লালন পালনের জন্য। পড়ালেখার খরচ ও দিতে চেয়েছেন। আল্লাহ তাকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখুক। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ