• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কোটালীপাড়ায় ১২ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির টার্গেট

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২  

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়  ১২ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির টার্গেট নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। আর এতে ১৫ হাজার একর জলাবদ্ধ জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নকাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মোঃ শহিদ উল্লা খন্দকার ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কৃষি বিভাগ ওইসব জমি চাষাবাদের আওতায় আনছে। ২২টি খাল খনন, খালের কচুরিপানা পরিস্কার ও স্লাইচ গেইট কার্যকরের মাধ্যমে এ টার্গেট পূরণ করা হবে। ১৫ হাজার একর জমি চাষাবাদের আওতায় আসলে ১২ হাজা মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে বাড়বে দেশীয় প্রজাতির মাছ । নৌপথে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের সুযোগ প্রসারিত হবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, কোটালীপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার হেক্টর জমি জলাবদ্ধ। এর মধ্যে ১২ হাজার ৫০০ একর জমি অস্থায়ী ও ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি স্থায়ী জলাবদ্ধ। 

কান্দি ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের গ্রামের কৃষক আজগর আলী মোল্লা (৫২) বলেন, কচুরিপানা পরিস্কার করলে বিলের জমির অস্থায়ী জলাবদ্ধতা দূর হবে। আর খাল খনন করলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা থাকবে না। আমাদের সব জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে। এতে ফসল উৎপাদন বাড়বে। আমরা খাল খেকে মাছ শিকার করতে পারব। খাল দিয়ে নৌকায় যাতায়াত ও কৃষিপণ্য পরিবহন করতে পারব। খাল খনন হলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে আরো ভালো থাকতে পারব।

কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড.বিজন বিশ্বাস বলেন, আমার ইউনিয়নের রামনগর বিলের ৩৫০ একর জমির মধ্যে ১৫০ একরে অস্থায়ী ও ২০০ একরে স্থায়ী জলাবদ্ধতা রয়েছে। কচুরিপানা পরিস্কার করা হলে ওই বিলে আস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। আর রামনগর খাল খনন করা হলে ওই বিলের জলাবদ্ধতা পুরোপুরি কেটে যাবে। এছাড়া পেটকাটা,কুমুরিয়া ও তেুতুলবাড়ীসহ ৫টি খালের কচুরিপানা অপসারণ করা হলে ফসল চাষাবাদের প্রতিবন্ধকতা অপসারিত হবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, খাল খনন, খালের কচুরিপানা পরিস্কার ও স্লুইচ গেইট গুলো সচল করলে ১৫ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে। ইতিমধ্যে আমরা খালের কচুরিপানা পরিস্কার শুরু করেছি। সব খালের কচুরিপানা পরিস্কার করার পর ১২ হাজার ৫০০ একর জমির অস্থায়ী জলাবদ্ধতা দূর হবে। অস্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে এসব জমিতে ফসল উৎপাদন কম হত। এবছর জলাবদ্ধতা নিরসন করে এখানে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব হবে। এছাড়া খালগুলো খনন হলে ২ হাজার ৫০০ একর জমি স্থায়ী জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে। ১৫ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ করা হলে কমপক্ষে ১২ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে বেশি ফসল ফলাতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এ কাজে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নকাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মোঃ শহিদ উল্লা খন্দকার ও উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করছে।

গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা কোটালীপাড়ার ২২টি খাল খনন করে দিচ্ছি। খাল খনন হলে এখানে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিপাবে। বাড়বে দেশীয় প্রজাতির মাছ।  এছাড়া এলাকার উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য নৌপথে সহজে পরিবহন করা সম্ভব হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নকাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মোঃ শহিদ উল্লা খন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় আমরা সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। ২২টি খাল খনন, ৩০ টি খালের কচুরিপানা অপসারণ ও স্লুইচগেইট সচল করে দিচ্ছি। এর মধ্য দিয়ে জমির জলাদ্ধতা নিরসন করে চাষাবাদ বৃদ্ধি করব। চাষাবাদ বৃদ্ধি পেলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ