• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

চাঁদ নিয়ে ভয়াবহ তথ্য, বেড়েছে ভূকম্পন-ভূমিধস

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে চাঁদ নিয়ে চলছে ব্যাপক গবেষণা। চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন দেশে। তবে এর মধ্যেই চাঁদ নিয়ে নতুন এক খবরে নড়েচড়ে বসেছেন বিজ্ঞানীরা।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার অর্থায়নে নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, চাঁদের কেন্দ্রভাগ শীতল ও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এতে চন্দ্রপৃষ্ঠে আরো বেশি ভাঁজ সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে সেখানে ভূকম্পন ও ভূমিধস বেড়ে গেছে।

বিজ্ঞানীরা এতদিন বলে আসছিলেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর একটি অঞ্চলে বরফ থাকতে পারে। ঐ অঞ্চল ঘিরেই চন্দ্রাভিযান চালানোর পরিকল্পনা ছিল বিশ্বের কয়েকটি দেশের মহাকাশ সংস্থার। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ঐ অঞ্চলকে যতটা বাসযোগ্য মনে করা হচ্ছিল, পরিস্থিতি ততটা অনুকূলে নয়।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের পর থেকে ঐ অঞ্চল ঘিরে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বাড়ছিল। অঞ্চলটিতে নভোযান পাঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হয় রাশিয়া। এরপর নাসা তাদের আর্টেমিস-৩ মিশন ঐ অঞ্চলে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যদিয়ে ২০২৬ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। আর চীন তো ভবিষ্যতে সেখানে মানববসতি গড়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে। কিন্তু নাসার নতুন গবেষণার ফল এই প্রচেষ্টা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

টমাস আর ওয়াটার্স নামে ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়াম সেন্টার ফর আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি স্টাডিজের একজন সিনিয়র বিজ্ঞানী বলেছেন, তিনি এ গবেষণার মাধ্যমে কাউকে সতর্ক বা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ঐ অংশে অনুসন্ধানে নিরুৎসাহিত করছেন না। তবে চন্দ্রপৃষ্ঠ যে পুরোপুরি অনুকূল জায়গা নয় সেই বার্তা দিচ্ছেন।

এছাড়া চন্দ্রপৃষ্ঠে কিছুই ঘটছে না- এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই বলেও মনে করেন তিনি।

গবেষকেদের মতে, কয়েক লাখ বছর ধরে চাঁদ ১৫০ ফুট সংকুচিত হয়েছে। এ পরিবর্তন ভূতাত্ত্বিক দিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা পৃথিবীতে ঢেউয়ের প্রভাব বা জোয়ারের চক্রের পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে খুবই সামান্য।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ