• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ফাইভ জির দ্বার খুললো

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৪  

দেশের তিন মোবাইল অপারেটরকে একীভূত লাইসেন্সের আওতায় এনেছে বিটিআরসি। ফলে এখন থেকে তারা একই লাইসেন্সের আওতায় ফাইভজিসহ সব ধরনের সেবা দিতে পারবে। নির্দিষ্ট কোনো প্রযুক্তিসেবার জন্য আর কোনো লাইসেন্সের দরকার হবে না বলেও জানানো হয়।

সোমবার গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটকের হাতে এই লাইসেন্স তুলে দেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে ওই অনুষ্ঠানে পলক বলেন, একীভূত লাইসেন্সের ফলে মোবাইল অপারেটরগুলোর উচিত হবে নিজেদেরকে ডিজিটাল কোম্পানিতে পরিণত করা। একইসাথে অপারেটরগুলোকে গবেষণায় বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশীয় উদ্ভাবন ও রপ্তানীতে ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন তিনি। এসময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই লাইসেন্সে ভর করেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি হবে।

বর্তমানে দেশে ফোর জি প্রজন্মের তারবিহীন সেবা দিচ্ছে অপারেটরগুলো। এর আগে ফাইভ জির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও অপারেটরগুলোর দিক থেকে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একীভূত লাইসেন্সে ফাইভজির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ‘ব্যাকহল ফাইবারের’ পাশাপাশি ‘পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, ‘রোল আউট’ বাধ্যবাধকতা ও নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়।

 ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং’ নীতিমালার আলোকে অপারেটরগুলোকে ‘সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স’ এবং ‘রেডিও কমিউনিকেশন্স অ্যাপারেটাস লাইসেন্স ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস’ এর আওতায় এই একীভূত লাইসেন্স দেয়া হয়।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন্স ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক গাইডলাইনটি অনুমোদন দেয়।

একীভূত লাইসেন্স দেয়ার এ সিদ্ধান্ত টেলিযোগাযোগ খাতে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, টেলিকম খাতে যত পরিবর্তন ও উন্নয়ন তা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে হয়েছে। বিটিআরসির সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯ কোটি মোবাইল গ্রাহক এবং প্রায় ১৩ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একীভূত বা ইউনিফাইড লাইসেন্স পাওয়ার পর অপারেটরগুলোর ফাইভ জি বা এর চেয়ে উন্নততর প্রযুক্তির তারবিহীন সেবা দিতে আর কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না।

পরে বিটিআরসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশে ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো টুজি লাইসেন্স দেয়া হয়, যা ২০১১ সালে ১৫ বছরের জন্য নবায়ন করার সুযোগ দেওয়া হয়। ওই নবায়নের মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত রয়েছে। ২০১৩ সালে চারটি মোবাইল অপারেটরকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত মেয়াদে থ্রিজি লাইসেন্স দেয়া হয়। পরে ২০১৮ সালে এটির মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বর্তমানে এসব লাইসেন্সের আওতায় দেশে সেলুলার মোবাইল সেবা দিচ্ছে অপারেটরগুলো।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ