• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

আফগানদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

সমীকরণটা এমনিতেই ছিল বেশ কঠিন। ২৯৩ রান করতে হতো কেবল ৩৭ ওভার ১ বলে।

এর মধ্যে দুই উদ্বোধনী ব্যাটারই ফিরেছিলেন অল্পতে। কিন্তু মোহাম্মদ নবী ঝড় তোলেন মাঝে এসে, বাকি ব্যাটাররাও রাখেন অবদান। কঠিন সমীকরণের কাছেও চলে আসে আফগানিস্তান। ৩৭তম ওভারে রশিদ নেন ১২ রান। এরপর সমীকরণ ছিল এক বলে চার মারার। কিন্তু মুজিব উর রহমান হয়ে যান আউট। ধারাভাষ্যকারদের দাবি অবশ্য ছিল, তখনও সুযোগ ছিল আফগানদের। ছক্কা মেরে তাদের সংগ্রহটাকে নিয়ে যেতে হতো ২৯৫তে, তাহলেই সুপার ফোরে পৌঁছে যেতো তারা। কিন্তু উইকেটে থাকা রশিদ খানের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়নি তিনি জানতেন সেটি।
মঙ্গলবার লাহোরে শ্রীলঙ্কার কাছে শেষ অবধি ম্যাচটি ২ রানে ম্যাচটি হেরেছে আফগানিস্তান। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে দুই রান আগেই অলআউট হয় আফগানরা।  

টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে দলটির প্রথম ব্যাটার হিসেবে দিমুথ করুণারত্নেকে সাজঘরে ফেরান গুলবাদিন নাইব। স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে কাভারে দাঁড়ানো মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৫ বলে ৩২ রান করেন তিনি। ৪০ বলে ৪১ রান করা আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কাকেও ক্যাচ আউট করেন গুলবাদিন।

৮ বলে ৩ রান করে তার ওভারেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৮৬ রানে তিন উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আশালাঙ্কা। ৪৩ বলে ৩৬ রান করা আশালাঙ্কার ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন রশিদ খান। আর ৮৪ বলে ৯২ রান করে কুশল মেন্ডিস হন রান আউট। এক পর্যায়ে অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল লঙ্কানরা। ২২৭ রানে তারা হারায় ৭ উইকেট।  

কিন্তু আট ও নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা দিমুথ ওয়ালালাঙ্গে ও মাহেশ থিকসেনা করেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হন থিকসেনা। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ বলে ৩৩ রান করে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন ওয়ালালগে।  

জবাব দিতে নেমে শুরুতে কিছুটা ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। তাদের দুই ওপেনারই আউট হয়ে যান অল্পতে। দুজনেই শিকার হন কাসুন রাজিথার। ৮ বলে ৪ রান করে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ক্যাচ ও ১৪ বলে ৭ রান করে বোল্ড হন ইবরাহিম জাদরান। দুই উদ্বোধনী ব্যাটারের বিদায়ের পরও হাল ছাড়েনি আফগানরা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করতে থাকে তারা। রহমত শাহ ৪০ বলে ৪৫ ও গুলবাদিন নাঈব ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান।  

আফগানদের রান বাড়ান মূলত মোহাম্মদ নবী। শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি, আরেক প্রান্ত ধরে রাখেন হাশমাতুল্লাহ শহিদী। দুজনের জুটিতে আসে ৪৭ বলে ৮০ রান আসে। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৩২ বলে ৬৫ রান করে থিকসেনার বলে ক্যাচ আউট হন নবী। এরপর ৬৬ বলে ৫৯ রান করে ওয়ালালগের বলে আউট হয়ে যান হাশমাতুল্লাহ শাহিদীও।  

তারপরও দলের আশা বাঁচিয়ে রাখেন নাজিবউল্লাহ জাদরান ও রশিদ খান। ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলে ২৭ রান করে আউট হয়ে যান নাজিবউল্লাহ। কিন্তু শেষ অবধি আশা বাঁচিয়ে রাখেন রশিদ খান। ওয়ালালগের ৩৭তম ওভারে তিনটি চার হাঁকান তিনি। কিন্তু মুজিব ও ফজল হক ফারুকী আর স্ট্রাইকই দিতে পারেননি তাকে।  

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ