• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বড় ভাইয়ের হাতে খুন ছোট ভাইয়ের বউ-ভাতিজি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

‘ওরে আমার সব শেষ হয়ে গেছে রে রে... তোদের আশা পূরণ হইছে রে...’ এভাবেই গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বসে কান্না জড়িত কণ্ঠে ফোনে কথাগুলো বলছিলেন স্ত্রী ও মেয়েকে হারানো টুকু মিনা। বড় ভাই হারুন মিনা মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে ছোট ভাই টুকু মিনার স্ত্রী বিউটি বেগম (৪৫) ও তার এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়াকে (১৫) কুপিয়ে হত্যা করে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ‍উপ-পরিদর্শক মো. আলমাস আল রাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের টুকু মিনার স্ত্রী বিউটি বেগম (৪৫) ও তার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে লামিয়া (১৫)। লামিয়া এ বছর খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমি থেকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ‍উপ-পরিদর্শক মো. আলমাস আল রাজী জানান, সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে দুলা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন ভাতিজি এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া। এ সময় বড় চাচা হারুন মীনা ভাতিজি লামিয়াকে সরে গিয়ে কথা বলতে বলেন। ভাতিজি না সরায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বড় চাচা হারুন মিনা তার স্ত্রী ও মেয়ে মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে ঘটনাস্থলেই লামিয়ার মৃত্যু হয়।

পরে স্থানীয়রা আহত লামিয়ার মা বিউটি বেগমকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। লামিয়া খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমি থেকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

নিহতের স্বামী টুকু মিনা বলেন, তার মেয়ে লামিয়া বাড়ির উঠানে বসে কথা বলছিল। এ সময় তার বড় ভাই হারুন মিনা সরে গিয়ে কথা বলতে বলেন। এ নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে কথা কাটাকটি হলে তার বড় ভাই হারুন মিনা তার স্ত্রী ও মেয়ে মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে দুজনে মারা যায়। এ ঘটনায় তিনি হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ