• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

মায়ের প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে ধরা খেল মেয়ে, লাখ টাকা জরিমানা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

গোপালগঞ্জে দাখিল পরীক্ষায় ৪৬ বছর বয়সী মা খাদিজা বেগমের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া খানম। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি এ আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জ শহরতলীর হরিদাশপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রের সচিব আতিয়ার রাসুল হিমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী মা খাদিজা বেগম গোপালগঞ্জ শহরের মহিলা আলিয়া আলিম মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। গত তিনটি পরীক্ষায় তিনি মেয়েকে দিয়েই পরীক্ষা দিয়েছেন। খাদিজা বেগম শহরতলীর ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়া স্ত্রী ও সুমাইয়া খানম তার মেয়ে।

হরিদাসপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব আতিয়ার রাসুল হিমেল জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় আমার কেন্দ্রে দাখিল, ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র পড়ে। বৃহস্পতিবার আরবী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থী সুমাইয়া খানমের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে প্রবেশপত্র দেখতে চাইলে সে সাদাকালো একটি প্রবেশপত্র দেখায়। পরে ছবির সঙ্গে তার চেহারার অমিল থাকায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সে মা খাদিজা খানমের স্থলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানায়। এর আগে তিনি মায়ের হয়ে প্রক্সি দিয়ে আরও তিনটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে খবর দেয়া হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পরে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে অভিভাবকেরা তাকে মুক্ত করে বাড়ীতে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনা বড় ধরনের অপরাধ। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ওই শিক্ষার্থীকে মাদারাসা থেকে বহিষ্কারসহ তার রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিক্ষার্থী খাদিজা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মেয়েকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়াটা ভুল হয়েছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ