• শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সুন্দরবনে দুই মাস পর মাছ ধরা শুরু

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

দুই মাস বন্ধের পর সুন্দরবনের নদী-খালে ফের মাছ ধরা শুরু হয়েছে। বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধসহ বন অপরাধ কমানোর জন্য ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে বনবিভাগ। নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে যাওয়ায় বন নির্ভরশীল উপকূলের হাজার হাজার জেলে জাল-নৌকা নিয়ে সুন্দরবনে মাছ শিকারে যেতে শুরু করেছেন।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, জুলাই-আগস্ট দুই মাস সুন্দরবনে মাছের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মাছ ধরা হলে ডিমওয়ালা ‘মা’ মাছ মারা পড়ে। অসাধু এক শ্রেণির জেলেরা এক সঙ্গে বেশি এবং বড় মাছের আশায় বনের ছোট-বড় খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে থাকেন। এতে মৎস্য সম্পদসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীও ধ্বংসের মুখে পড়ে। তাই মাছের প্রজনন ও বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধে বনবিভাগ এই দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার জয়মনিরঘোল এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ও তালেব খান বলেন, বনবিভাগ নিষেধাজ্ঞা জারির আগে জেলে নৌকা প্রতি আমাদের এক লাখ থেকে সোয়া লাখ টাকা পর্যন্ত দাদন দেওয়া ছিল। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় দাদন দেওয়া টাকা জেলেরা বসে বসে খেয়ে শেষ করেছেন। এখন নতুন করে আবার দাদন দিয়ে তাদেরকে সুন্দরবনে পাঠাতে হবে। এতে আমাদের এ মৌসুমে খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তারপরও এটাই পেশা, লাভ-লোকসান যাই হোক, এছাড়া অন্য কিছু করারও নেই।
মোংলা বাজারের মৎস্য আড়ৎদার দ্বীন ইসলাম, মজিবর শেখ ও জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, চিলা, জয়মনি, গাববুনিয়া, মিঠাখালী, বাশতলাসহ উপজেলার শত শত জেলে আগে থেকেই মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে বসে আছে। এখন দীর্ঘদিন বসে থাকার পর যা জেলেদের আয় হবে তা দিয়ে দাদন পরিশোধ করবেন নাকি সংসার চালাবেন এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন অফিসার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বন অপরাধ দমন বিশেষ করে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে দুই মাস সুন্দরবনে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। যেহেতু নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে তাই ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলেরা পাস নিয়ে বনে ঢুকতে শুরু করেছেন। রবিবার শুধু চাঁদপাই স্টেশন থেকেই পাস নিয়ে প্রায় দেড়শ’ জেলে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন। এছাড়া অন্যান্য স্টেশন থেকেও পাস নিয়ে জেলেরা বনে যাচ্ছেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ