• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কাঁচা দুধ খেলে কী হয়

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৩  

দুধ পুষ্টিকর একটি পানীয়। শরীরের একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করে দুধ। অনেকেরই ধারণা,দুধ ফুটিয়ে খেলে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই তারা নিজেরা তো কাঁচা দুধ খানই, পাশাপাশি অন্যদেরও কাঁচা দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

কিন্তু প্রশ্ন হল, কাঁচা দুধ খাওয়া কি আদৌ শরীরের জন্য উপকারী? এ ব্যাপারে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদ শর্মিষ্ঠা রায় দত্ত জানিয়েছেন বেশ কিছু তথ্য। 

শর্মিষ্ঠার কথায়, এক কাপ দুধ থেকে ১৪৯ ক্যালোরি শক্তি, ৮ গ্রাম প্রোটিন এবং ৮ গ্রাম ফ্যাট পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে দুধ হল ভিটামিন এ, ডি, ই, কে, জিঙ্ক, ক্যালসিয়ামসহ একাধিক ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। এমনকী দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনও রয়েছে। এ কারণে পেশি থেকে হাড়, দেহের একাধিক অঙ্গ সুস্থ রাখতে দুধের জুড়ি নেই। 

কাঁচা দুধ খাওয়া কি আদৌ উপকারী?

পুষ্টিবিদ শর্মিষ্ঠা জানান, অনেকেই মনে করেন, কাঁচা দুধ খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিষয়টা ঠিক নয়। বরং কাঁচা দুধ খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ গরু বা মহিষের দুধ কাঁচা অবস্থায় খেলে নানা রকমের ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। যে কারণে বমি, ডায়ারিয়া থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, বরং নিয়মিত কাঁচা দুধ খেলে দীর্ঘমেয়াদে আর্থ্রাইটিস, গ্যাসট্রাইটিসের মতো জটিল রোগও হতে পারে।

পুষ্টিবিদ শর্মিষ্ঠা আরও জানান, কাঁচা দুধ খেলে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের আশঙ্কা কমে। এ কারণে এই রোগে ভুক্তভোগীদের অনেকেই কাঁচা দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে এখানে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থেকে বাঁচতে গিয়ে যদি কাঁচা দুধ খান, তাহলে একাধিক ব্যাকটেরিয়ার আশঙ্কা বাড়বে। এমনকী দীর্ঘমেয়াদে আরও সমস্যায় পড়তে পারেন। এ কারণে কাঁচা দুধ না খেয়ে বরং সোয়া বা আমন্ড মিল্ক খান। এতে উপকার পাবেন। 

শর্মিষ্ঠার কথায়, সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে দুধ ফুটিয়ে খাওয়াটাই ভালো। এতে দুধে থাকা একাধিক ব্যাকটেরিয়া ধবংস হবে। শুধু তাই নয়, ফোটানোর ফলে দুধের পুষ্টিগুণও খুব একটা কমে না। তাই যখনই দুধ খান না কেন, ফুটিয়েই খান। তাহলেই উপকার মিলবে।

দুধের পাশাপাশি নিয়মিত দই, ছানা, পনিরও খেতে পারেন। এইসব খাবার থেকেও যথেষ্ট পুষ্টি পাওয়া যায়। কারণ এগুলিতেও রয়েছে প্রোটিন থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে প্রতিদিনে ডায়েটে এইসব দুগ্ধজাত খাবার রাখতে পারেন। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ