• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ব্রণ সমস্যায়...

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

বয়ঃসন্ধিকালে যেকোনো ধরনের ত্বকেই ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্রণ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে নানা রকম ভুল পদ্ধতি, উপকরণ ও পণ্য দিয়ে রূপচর্চাও শুরু করে কিশোরীরা। এ ছাড়া ব্রণে হাত বা নখ দেওয়ার একটি প্রবণতাও দেখা যায়। ফলাফল জায়গাটিতে দাগ হয়ে যায়। তাই এই সময় ব্রণের সমস্যা এড়াতে নিয়মকানুন মেনে রূপচর্চা করা উচিত।

ব্রণ এড়াতে ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ব্যবহার করা উচিত প্রাকৃতিক উপাদান। হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী আফরিন মৌসুমী এমনটাই বললেন। তিনি কিশোরীদের ব্রণ সমস্যার কিছু সমাধান দিলেন। খুব বেশি ব্রণ হলে ১ কাপ পানিতে ১ চা-চামচ গ্রিন টি দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। নির্যাস বের হলে এতে কিছু লবঙ্গ দিয়ে পেস্ট করে নিন। ব্রণে লাগিয়ে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি ব্রণ চলে যাবে।

প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও ফেসওয়াশ তৈরি করে নিতে পারেন। ১ কাপ মুগডাল শুকিয়ে গুঁড়া করে তাতে সিকি ভাগ লবঙ্গ ও ১৫-২০টি তেজপাতা মিশিয়ে ব্লেন্ড করে কাচের বয়ামে ভরে রেখে দিতে হবে। বাইরে থেকে আসার পরপরই এর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারো। এতে করে মুখে সাধারণত ছোট ছোট ব্ল্যাক হেডে যে ব্রণগুলো হয় তা চলে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরার জেলও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ভালো কাজ করে। ১ কাপ অ্যালোভেরার জেল বের করে নিয়ে গরম পানিতে কিছুক্ষণ রেখে ছেঁকে নির্যাস বের করে নিতে হবে। এরপর এই নির্যাসের সঙ্গে ৬-৮টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে কাচের বয়ামে ভরে ৭ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে দেওয়া যাবে। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ চলে যাবে। ত্বকের লাবণ্য ও আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অনেক সময় কিশোরীরা ফেসওয়াশ দিয়ে অতিরিক্ত মুখ ধুয়ে ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। এতে করে ব্রণ তো যায়ই না; বরং ত্বকের ধরনও পরিবর্তন হয়ে যায়।

আফরিন মৌসুমী আরও বললেন, ‘হরমোনজনিত কারণেই এই বয়সে ব্রণ হয়ে থাকে। ১৮ বছরের পর সাধারণত ব্রণের সমস্যা চলে যায়। তবে ব্রণ হলে সে ক্ষেত্রে বাড়তি যত্ন নেওয়া ভালো। রোদে যাওয়ার আগে একটি ঘরোয়া সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারে। সে ক্ষেত্রে শঙ্খ ও মুলতানি মাটির গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে রেখে দেওয়া যায়। বাইরে যাওয়ার আগে পানি বেশি আছে এমন কোনো ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নাও। এবার এই পাউডারের মিশ্রণটি ভালোভাবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারো। ফলে সিবাম গ্ল্যান্ডটি খুলে যাবে না এবং ব্রণও হবে না। তবে অবশ্যই বাসায় আসার পর খুব ভালোভাবে ঘরোয়া যে ফেসওয়াশের কথা বলা হয়েছে, তা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

এ সময়ে খাদ্যাভ্যাসের কারণেও সিবাম গ্ল্যান্ড খুলে গিয়ে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমণ হয়ে ব্রণ হয়। সাধারণত কিশোরী বয়সে তৈলাক্ত ত্বকেই বেশি ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকে কালো ছোপও পড়ে যায়। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। কলা ও চীনাবাদাম খাবারে অবশ্যই রাখতে হবে। এ ছাড়া দেশি ফল, বিশেষ করে এই বয়সের জন্য পেয়ারা খুবই উপকারী এবং ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করে। ভিটামিন সিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে নিয়মিত। এ ছাড়া টমেটো ফুটন্ত পানিতে কিছুক্ষণ রেখে রস করে নিয়ে খেলেও ত্বক সুন্দর থাকবে।

মনে রাখা ভালো
● কখনোই মুখ অপরিষ্কার রাখা যাবে না।
● রাতে অবশ্যই ১ গ্লাস দুধ খেতে হবে।
● ব্রণে হাত দেওয়া যাবে না।
● ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
● যাদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাদের মেকআপ না করাই ভালো। যদি মেকআপ করা হয় তাহলে অবশ্যই পাউডার বেজ মেকআপ করতে হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ