• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

আতা ফল খাওয়ার ৭টি উপকারিতা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৩  

বাজারে নানা ফলের ভিড়ে পাওয়া যাচ্ছে আতাফল। এটি শরিফা নামেও পরিচিত।  আতা ফল একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অনেক ধরনের ঘাটতির কিছুটা হলেও উন্নত করতে পারে। আতা ফল ভিটামিন বি এর সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরে ডোপামিনের উৎপাদন বাড়ায়। সুপারফুড আতার আরও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এমনই কিছু উপকারিতার কথা।  

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : উচ্চ অক্সিডেটিভসম্পন্ন স্ট্রেস ক্যান্সার, হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে। আতা ফলে থাকা কৌরেনোইক অ্যাসিড, ভিটামিন সি ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো শক্তিশালী যৌগ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : আতা ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, আতা ফল হৃৎপিণ্ড সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ যেমন স্ট্রোক,হৃদরোগ ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় : আতা ফলে উচ্চ ফাইবার থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার মতো হজমের সমস্যাগুলি দূর করতে সহায়তা করে। এই ফলে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকে প্রদাহের মতো রোগ থেকে রক্ষা করে এবং শরীরে শক্তি জোগায়।

কোলেস্টেরল কমায়: অকারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে আতা ফল খেতে পারেন। এতে নিয়াসিন ভিটামিন পাওয়া যায়। নিয়াসিন ভিটামিন শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রেখে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 

রক্তস্বল্পতা নিরাময় করে : রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে আতা ফল খেতে পারেন। কখনও কখনও ফোলেটের অভাবের কারণেও শরীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে। ফোলেট-সমৃদ্ধ আতা ফল শরীরে ফোলেটের অভাব দূর হয়। সেই সঙ্গে এটি রক্তাল্পতার ঝুঁকি রোধ করতে উপকারী হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে,আতা ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, যা আয়রন শোষণে সাহায্য করতে পারে। সুতরাং, যখন অন্যান্য খাবারের সাথে যদি আকা ফল খাওয়া হয়, তখন এটি শরীরের অন্যান্য খাবারে উপস্থিত আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করতে পারে।

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে: আতা ফল শক্তির উৎস।  এটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের দিকেও মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

হাঁপানি রোগীদের স্বস্তি দেয়: হাঁপানি একটি চিকিৎসা অবস্থা যা প্রদাহের কারণে ঘটে। আতা ফল খেলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যায়। এটি চমৎকার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি ফল। বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য অ্যাজমার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ