• শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রধানমন্ত্রি মায়ের মমতা দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রোহিঙ্গা প্রশ্নে দলবাজি না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

আজ সোমবার কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ন্যাপ নেতা প্রয়াত মোজাফ্ফর হোসেনের স্বরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শেখ হাসিনা মায়ের মমতা দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সারা বিশ্ব প্রশংসা করেছে। আজকে কি দেখি আমরা, এই রোহিঙ্গাদের কেন্দ্র করে অশুভ শক্তির চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। সারা দুনিয়াকে আমরা বলবো মিয়ানমারের উপরে চাপ সৃষ্টি করুণ। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করুণ।

তি‌নি ব‌লেন, এই প্রশ্নে কোন রাজনীতি নয়, এই প্রশ্নে কোন দলবাজি নয়। রোহিঙ্গা প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করুণ। সরকারকে সবাই সাহায্য করুণ। রোহিঙ্গা ফেরত নেওয়ার ব্যপারে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করবো ঐক্যবদ্ধভাবে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুণ। এখানে আমরা দলবাজি করতে চাইনা। আমরা চাই সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করি।

সিপিবি কে আরও শক্তিশালী হয়ে সরকারের বিরোধীতা করার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হয় তাহলে বিরোধী দলও হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এটাই আমরা আশা করি। কমিউনিষ্ট পার্টি ন্যাপ আরও শক্তিশালী হোক এটা আমরা আশা করি। আমি কমিউনিষ্ট পার্টি ও ন্যাপকে বলবো, আপনারা আরও শক্তিশালী হয়ে আমাদের বিরোধীতা করুণ। বিএনপি জামাত কেন এই দেশে শক্তিশালী দল হবে, আপনারা শক্তি অর্জন করে তাদের স্থান দখল করুন।

আলোচনা সভায় মোজাফ্ফর হোসেনকে স্বরণ করে নাসিম বলেন, আজকের এই ঐক্যবদ্ধ ১৪ দল গঠনের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন মোজাফ্ফর হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনেক সময় উনার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করতেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে একজন আদর্শবান রাজনৈতিক নেতা।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মোজাফ্ফর হোসেন ছিলেন আদর্শবান রাজনীতির অনুকরণীয় মূর্ত প্রতীক। আমরা জাতীয়ভাবে তাকে স্বরণ করতে চাই।

জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, তিনি বিশ্বাস নিয়ে, আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন। তার মধ্যে ছিল আদর্শ ও নিষ্ঠা, যা একজন রাজনীতিকের জীবনে বড় অর্জন।

সিপিবির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, একটি ট্রাজেডি হলো স্বাধীনতার পর কমিউনিষ্ট পার্টি আর ন্যাপ যদি মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের শক্তি হিসেবে বিরোধী দলে থাকতো তবে বিএনপি জামাতের যে বিপদ তা থাকতো না। মাওলানা ভাসানী এ দেশেরে অনেক বড় নেতা ছিলেন। মাওলানা ভাসানী একবার চীন, একবার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে সমন্নয় করতে গিয়ে মূল ধারা থেকে বের হয়ে গেলেও মোজাফ্ফর আহমদ কিন্তু এর সঙ্গে আপোস করেন নি। তিনি ছিলেন আপোষহীন আদর্শবান নেতা।

আলোচনা সভায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঐক্য ন্যাপের নেতা পংকজ ভট্টাচার্য, জাসদ সভাপতি নুরুল শরিফ আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বক্তব্য রাখেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ