• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

হেঁটে বিশ্বভ্রমণ শুরু করা সাইফুল এখন গোপালগঞ্জে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৪  

পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণ শুরু করা বাংলাদেশী তরুণ হাইকার সাইফুল ইসলাম শান্ত(২৮) এখন গোপালগঞ্জে।‘গাছ বাঁচান, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করা যুবক আজ শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জে এসে পৌছান।এর আগে ২২মার্চ(শুক্রবার)রাজধানী ঢাকার সংসদ ভবন এলাকা থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেন।

এক সপ্তাহের পথপরিক্রমায় তিনি শনিবার গোপালগঞ্জে আসেন।এদিন বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় ডাকবাংলোতে রাত্রীযাপন করেন। আগামীকাল রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি গোপালগঞ্জ জেলা ছেড়ে নড়াইল জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।এই হাইকার তরুণ কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলা সদরের মোঃ সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং ঢাকার যাত্রবাড়ি দনিয়া কলেজ থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে স্নাতক(অনার্স)ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

আজ শনিবার (৩০ মার্চ)দুপুরে হাইকার সাইফুল ইসলাম শান্ত গোপালগঞ্জ “রিপোর্টার্স ফোরাম” কার্যালয়ে আসেন এবং সংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।এসময় তিনি তার বিশ্বভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, আমি ‘জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৩টি দেশ ভ্রমণ করতে যাত্রা শুরু করেছি। এ ভ্রমণ শেষ করতে প্রায় ১৩/১৪ বছর লেগে যাবে। জরুরী কোন প্রয়োজন ছাড়া  ভ্রমণ কালীন সময়ে দেশে ফেরার কোন ইচ্ছা নাই। মা-বাবা, ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনদের সেভাবে বলে রওনা হয়েছি।

ভ্রমণের অর্থ যোগানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাইলেজ অনুসারে স্পন্সর নিচ্ছি আমি। নিজের সঞ্চিত সামান্য কিছু অর্থ, বাবার দেয়া ১০ হাজার টাকা আর প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ডলার স্পন্সর পেয়েছি। এই অর্থ নিয়ে আমার পথচলা শুরু।

সাইফুল ইসলাম শান্ত আরও বলেন, ২২মার্চ ‘ঢাকা থেকে হাঁটা শুরু করি। পদ্মা সেতু পায়ে হেটে পারাপার হওয়া যাবে না বিধায় বাসে পারাপার হয়েছি।টোল প্লাজায় নেমে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা সদরে আসি।  সেখান থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ধরে টেকেহাট আসি শুক্রবার।পরে টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ সড়ক হয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর এসে সন্ধ্যা নামে।পরে রাত ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্র হোস্টেলে আসি।সেখানে রাত্রী যাপন করি।শনিবার গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে রওনা হয়ে বিকেলে পৌছাই টুঙ্গিপাড়ায়।সেখানে রাত্রীযাপন শেষে রবিবার সকালে যশোর-বেনাপোল সীমান্ত পার হয়ে কলকাতায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা নিয়ে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবো।এরপর ভারতের ঝাড়খন্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ হয়ে দিল্লিতে পৌঁছানোর ইচ্ছা রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী উজবেকিস্তান যাওয়ার কথা রয়েছে।তারপর পর্যায়ক্রমে মধ্য এশিয়ার তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ ক্রমান্বয়ে এশিয়ার অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার আসা প্রকাশ করেছেন এই যুবক।এরপর আফ্রিকা এবং ইউরোপ ভ্রমণের পরিকল্পনা করবেন তিনি।এরপর উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ ভ্রমণের পর অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ গিয়ে বিশ্বভ্রমণের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ